মালদায় একই গ্রামের তিন ছাত্রী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিখোঁজ হয়ে যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে দু'জন স্কুলপড়ুয়া এবং একজন হল কলেজ পড়ুয়া। একজনের বয়স ১৮-র কম। গত সোমবার থেকে নিখোঁজ রয়েছে ওই ছাত্রীরা। কিন্তু, ছয়দিন হয়ে যাওয়ার পরেও তাদের কোনও খোঁজ মেলেনি। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন পড়ুয়াদের পরিবারের সদস্যরা। একইসঙ্গে এই ঘটনায় তারা পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের আশঙ্কা, তাদের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংর🌊েজবাজার ব্লকের কোতোয়ালি অঞ্চলের পাহাড়পুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় দুই সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া নিখোঁজ বোর্ডিং স্কুল থেকে, 🥃সিসিটিভিতে কী দেখা গেল?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ছাত্রীদের নাম হল সীতেশ পাহাড়ি, তপন পাহাড়ি ও মিতুল পাহাড়ি। গত সোমবার তিনজনে কেউ স্কুল আবার, কেউ কলেজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেꩵরিয়েছিল। কিন্তু, তারপরে আর কেউ বাড়ি ফেরেনি। সন্ধ্যা হওয়া যাওয়ার পরেও বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। রাত অবধি বিভিন্ন জায়গায় তাদের খোঁজাখুঁজি করা হয়। শেষে কোথাও না পেয়ে মঙ্গলবার ইংরেজবাজার থানায় তিন ছাত্রীর পরিবার অভিযোগ জানান।
পরিবারের আশঙ্কা, কেউ বা কারা তাদের অপহরণ করে রেখেছে। সেই কারণে ছয়দিন হয়ে যাওয়ার পরেও তারা বাড়ি ফিরছে না। পুলিশ কেন তাদের খুঁজে পেল না? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা।পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের কাছে যাওয়া হলেও ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না তারা। এমনকী অভিযোগ জানানোর পরে পুলিশের তরফে তাদের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করা হয়নি। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার কথা পঞ্চায়েত প্রধানকেও🃏 জানিয়েছেন নিখোঁজ ছাত্রীদের𝓡 পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধানও সহযোগিতা করেননি বলেই তারা অভিযোগ জানিয়েছেন।
যদিও অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান সন্দীপ ঘোষ। পালটা তিনি পুলিশের বিরুদ্ধেই নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন। ෴তিনি জানান, নিখোঁজ ছাত্রীর বিষয়ে পঞ্চায়েতের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এই ঘটনায় পঞ্চায়েতের তরফে পরিবারের সঙ্গে আবার কথা বলা হবে বলে জানান তিনি। প্রয়োজনে পুলিশ সুপারের কাছেও দারস্ত হওয়ার কথাও জানিয꧟়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। ঘটনার সঙ্গে কেউ বা কারা জড়িত রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।