নাবালিকাকে শৌচালয় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতার পরিবার। তার ভিত্তিতে পুলিশ নাবালিকা শারীরিক পরীক্ষা করানোর পাশাপাশি গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য বালুরঘাট আদালতে পাঠায়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম হল রাকেশ শীল। তিনি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের প্রাক্তন জেলা সভাপতি ছিলেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা। তবে আবারও একটি নারী নির্যাতনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: 'আমি দিদিমণি বলছি,' মোবাইল অ্য়াপে গলা বদলে ৭ ছাত্রীকে ধর্ষণ, ধরে ফেলল পুলিশ
জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে। অভিযোগ উঠেছে, নাবালিকাকে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। এরপর সেই প্রলোভন দিয়ে নিজের মোবাইলের দোকানে নাবালিকাকে ডাকেন। অভিযোগ, এরপর তাকে দোকানের শৌচালের মধ্যেই তিনি নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে নির্যাতিতার পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তৃণমূল নেতার মোবাইলে দোকানে তল্লাশি চালায়। সেখানকার সিসিটিভি ফুটে খতিয়ে দেখে।
এদিকে, এই ঘটনার পরে নাবালিকার বাড়ির বাইরে ২৪ ঘণ্টার জন্য সিভিক ভলেন্টিয়ারকে পাহারার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা। তবে শোনা যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ সামনে এসেছে। কয়েক মাস আগে বালুরঘাট হাসপাতালে মহিলা কর্মীদের মধ্যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় তার প্রভাব খাটানোর অভিযোগ সামনে আসে। এছাড়াও শহরে একাধিক অবৈধ নির্মাণেও তার নাম রয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পরে তাকে শ্রমিক সংগঠনের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে গণধর্ষিত হয়েছেন, দাবি মডেলের, ২ মাস পর অভিযোগ দায়ের
এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত দলীয়ভাবে তারা বিষয়টি জানতে পারেনি। তারা পুলিশের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন। যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে শাস্তি পেতে হবে। জেলার পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।