ভুয়ো শিক্ষক, ভুয়ো চিকিৎসকের কথা শোনা গিয়েছে। কিন্তু ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকের কথা শুনেছেন? তবে এবার তেমনই এক যুবককে আটক করা হয়েছে। সে ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক বলে অভিযোগ। মুম্বই মেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম অজিত বিশ্বকর্মা। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ঝাড়খন্ডের পালামৌ জে𓆏লায় তার বাড়ি। তার কাছ থেকে যে পরিচয়পত্রটি পাওয়া গিয়েছে সেটিও জাল বলে মনে করা হচ্ছে। তাকে জেরা করা হচ্ছে। কেন সে এভাবে টিকিট পরীক্ষার কাজে নেমেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে রীতিমতো ফাঁদ ফেলে তাকে এদিন ধরা হয়েছে। আর কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না তা দেখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ওই যুবক নানা ছুতোয় জরিমানা করে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা হাতানোর๊ ছক কষেছিল বলে অভিযোগ। পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের সীতারামপুর ও বরাচক স্টেশনের মাঝে তাকে আটক করা হয়। টিকিট পরীক্ষকের দল তাকে ধরে ফেলে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে সে ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক। য🍌াত্রীদের কাছ থেকে টাকা হাতানোর জন্যই সে ট্রেনে ট্রেনে ঘুরত। তার সঙ্গে রেলের কোনও যোগাযোগ নেই।
তাকে আপাতত রেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। কীভাবে বিষয়টি জানা গেল? আসানসোলগামী সুপারফাস্ট মুম্বই মেলে টিকিট পরীক্ষার কাজ করছিলেন টিকিট পরীক্ষকের দল। তখন অজিতের মুখোমুখি হন তারা। এরপর দেখা যায় তার কাছে একটি জেনারেল টিকিট রয়েছে। সেটাও আবার জাপলা থেকে রানিগঞ্জ পর্যন্ত। এদিকে তাকে জরিমানা করা হলে সে জানায় আমিই টিটিই। তার দাবি কাজে যোগ দেওয়ার জন্য সে রানিগঞ্জ যাচ্ছে। এ🐬নিয়ে সন্দেহ হয় টিকিট পরীক্ষকদের। এরপর সে একটি পরিচয়পত্র দেখায়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা যায় ওই পরিচয়পত্রটিই জাল।
এরপরই তাকে ঘিরে সন্দেহ আরও জোরালো হয়। ওই যুবকের দাবি, এক ব্যক্তি তাকে রানিগঞ্জে আসতে বলেছি♚ল। ৬০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলেছিল বলেও যুবকের দাবি। তবে কি গোটা একটি চক্র কাজ করছে এর পেছনে? আরও এই ধরনের ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক ঘুরছে রেলপথে? অজিত কতদিন ধরে এই ভুয়ো পরিচয়পত্র নিয়ে ঘুরছে তা দেখা হচ্ছে। আসানসোল ডিভিশন থেকে তাকে এই পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে সে প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিল। পরে দেখা যায় সেটাও ভুয়ো।