তাঁর শরীর ভাল নেই। তাই দু’দিন আগে আসানসোল জেলা হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছিল। জেলে এসে সিবিআই জেরাও করেছে সম্প্রতি। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আদালতে যাওয়া–আসার পথে অনুগামীদের টোটকা দেন ত𓄧িনি। ৬ মাসের বেশি হয়ে গেল তিনি জেলবন্দি। হ্যাঁ, তিনি বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। এবার অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল সিবিআই। আর সেখান থেকে মিলল বিপুল টাকা।
কেন ফ্রিজ করা হল অ্যাকাউন্ট? গর🍎ু পাচার মামলার তদন্তে নেমে বীরভূমের সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে শতাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছিল সিবিআই। সেখানে এই অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারকেরও অ্যাকাউন্ট ছিল। ওই 💦সমবায় ব্যাঙ্কেই পরিচারকের নামে অ্যাকাউন্ট থাকায় সন্দেহ হয় সিবিআইয়ের। তখন সেটার খোঁজখবর করে বিপুল টাকার হদিশ পায় তদন্তকারীরা। যার জেরে ফ্রিজ করা হয় অ্যাকাউন্টটি। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর পরিচারক, নিরাপত্তারক্ষী, আত্মীয়স্বজনদের নামেও বিপুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে।
কত টাকা আছে পরিচারকের অ্যাকাউন্টে? সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের এই পরিচারকের নাম বিজয𒅌় রজক। অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারক হিসাবে মাসে কয়েক হাজার টাক💃া আয় হলেও বিজয রজকের অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। এখনও ওই অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা আছে। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে আর যাতে কোনও টাকা তোলা না যায় এবং লেনদেন করা না যায় তার জন্য বীরভূমের সিউড়ির সমবায় ব্༒যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই ১৫ও লক্ষ টাকা কোথা থেকে এসেছে সেটার খোঁজ করা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে টাকা লেনদেন বিরাট হদিশ পায় সিবিআই। তখন তাঁরা সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্কে হানা দেয়। সেখানেই তিনশোর বেশি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ সিবিআই। এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে পাওয়া নামের তদন্ত শুরু করে সিবিআই অফিসাররা। তখন তাঁদের হাতে তথ্য আসে, অধিকাংশের অজান্তেই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছিল। সেখানে আবার বেশ কয়েকটি আধার কার্ডের তথ্য এবং ভুয়ো সই ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এখানে কালো টাকা সাদা করতেই এই অ্যাকাউন🌳্টগুলিকে ব্যবহার করা হয়েছে। এখানেই উঠে আসে পরিচারকের অ্যাকাউন্টের হদিশ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বা🎐ংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup