পরকীয়ার অভিযোগে মহিলাকে রাস্তায় ফেলে তৃণমূল নেতা জেসিবির মধ্যযুগীয় নির্যাতনের ভিডিয়ো এখনও ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে দাবি কংগ্রেসের। তাদের দাবি, দাদার গ্রেফতারির পর আক্রান্তদের ধমকে বেড়াচ্ছেন তাজিমুল ওরফে জেসিবির ভাই গির আলম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি কানহাইলাল আগরওয়াল।
আরও পড়ুন - ইনসাফ দিত ঝড়ের বেগে, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নে CPM নেতা খুনে গ্রেফতার হয় তাজমুল
পড়তে থাকুন - মানহানির মামলায় বিপুল টাকা জরিমানা করল আদালত, বিপাকে তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে
রবিবারের পর সোমবারও সালিশির নামে জেসিবির অত্যাচারের নতুন ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে যুবক ও যুবতীর হাত পিছমোড়া করে বেঁধে রাতের অন্ধকারে গ্রামে ঘোরাচ্ছে জেসিবি। দড়ির আরেক প্রান্ত তার হাতে। চোপড়া ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মাসিরুদ্দিন সাহেবের অভিযোগ, ‘রাতে ওই যুবক যুবতীর বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছে জেসিবির ভাই গির আলম। পুলিশ বা সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললে ফল ভালো হবে না বলে হুমকি দিয়েছে। এর বিরুদ্ধেও পুলিশে একাধিক মামলা রয়েছে। দাদা জেলে যাওয়ার পরে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছে ভাই।’
অভিযোগ অস্বীকার করে কানহাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ। চোপড়ার ঘটনায় পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করেছে। তার পরও শাসকদলকে বদনাম করতে বিরোধীরা এসব বলে বেড়াচ্ছে। কেউ কাউকে হুমকি দেয়নি। আর দিয়ে থাকলে পুলিশে অভিযোগ জানাক। পুলিশ পদক্ষেপ করবে।
আরও পড়ুন - চোপড়া কাণ্ডে মুখরক্ষায় মরিয়া প্রশাসন, থানার আইসিকে শো কজ, পোস্ট করে জানাল পুলিশ
গত রবিবার ভাইরাল এক ভিডিয়োয় চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমান ঘনিষ্ঠ তাজিমুল ওরফে জেসিবির বিরুদ্ধে সালিশি সভায় এক মহিলাকে বর্বর নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে। ভিডিয়োয় দেখা যায়, পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ডাকা সালিশি সভায় রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় ওই মহিলাকে। বাদ যাননি তাঁর পুরুষ সঙ্গীও। ওই ঘটনায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তাজিমুলকে। সোমবার তাকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে ইসলামপুর মহকুমা আদালত।