শাড়ি পরে ফুটবলে শট মেরে ‘খেলা হবে’ দিবসের সূচনা করলেন মহুয়া মৈত্র। যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তারইমধ্যে কয়েকজন নেটিজেনের আবার সর্বভারত꧅ীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) উপর ফিফার নির্বাসনের খাঁড়া নিয়ে মহুয়াকে কটাক্ষ করেছেন।
'খেলা দিবস' উপলক্ষ্যে আজ তেহট্ট ১ নম্বর ব্লকের তরফে ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। সেই ম্যাচে আসেন কৃ♔ষ্ণনগরের মহুয়া। সেখানে মাঠের মধ্যে গিয়ে ফুটবলে শট মারেন। শাড়ি এবং পায়ে স্নিকার্স পরে ফুটবলে মাঠ মারেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। সেই ছবি নিজেই 𝓰টুইটারে পোস্ট করে লেখেন, ‘খেলা হবে দিবসের সূচনা করলাম।’
সেই ছবি নিয়ে কয়েকজন নেটিজেন প্রশ্ন করেন, কেন শাড়ি পরে ফুটবলে শট মেরেছেন মহুয়া? তাতে মহুয়া বলেন, 'হাহা! তাহলে কী করব? আমার সত্যি সালোয়ার-কামিজ ভালো লাগে না।' অপর একজন দাবি করেন, শাড়ি পরে ফুটবল খেলতে গেলে চোট পেতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। তা নিয়ে মহুয়া মজা করে বলেন, ‘একটা শটে চোট লাগবে না।’ কেউ কেউ আবার কটাক্ষও কর🦂েছেন। তাঁদের বক্তব্য, ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে ফিফা নির্বাসিত করে দেওয়ায় মহুয়া মাঠে নেমেছেন।
খবরে মহুয়া
সম্প্রতি ব্যাগ বিতর্কে পড়েছিলেন মহুয়া। গত মাসে লোকসভার বাদল অধিবেশনে মূল্যবৃদ্ধি বিতর্ক চলছিল। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্♎রকে আক্রমণ শানাচ্ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। সেইসময় তাঁর পাশে বসেছিলেন মহুয়া। কাকলির ভাষণের মধ্যেই কৃষ্ণনগরের সাংসদকে নিজের পাশে রাখা একটি হ্যান্ডব্যাগ টেবিলের নিচে রাখতে দেখা গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর মহুয়ার পাশেই বসেছিলেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। মহুয়া এবং অপরূ♒পা কার্যত গা ঘেঁষে বসেছিলেন।
তারইমধ্যে মহুয়া কেন ব্যাগ সরিয়ে নিয়েছেন, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু করেছিলেন নেটিজেনদের একাংশ। তেমনই 💝একজন বলেছিলেন, 'মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিতর্কের সময় ২০০,০০০ টাকার Louis Vuitton-র ব্যাগ লুকিয়ে দিচ্ছেন মহুয়া মৈত্র।' 'মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি যখন উত্থাপন করা হয়েছে, তখন কেউ একজন দ্রুত Louis Vuitton-র ব্যাগ বেঞ্চের নিচে ঢুকিয়ে দিলেন।'
পালটা মুখ খুলেছিলেন মহুয়া। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দাবি করেছিলেন, ২০১৯ সাল থেকে একই ব্যাগ ব্যবহার করছেন। সেইসঙ্গে নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, ‘ঝোলা নিয়ে চলে যাব (ঝোলা লেকর আয়ে থে, ঝোলা লেকে চল প🌃ড়েঙ্গে।’ সংসদ চত্বরে ব্যাগ হাতে নিজের একাধিক ছবির কোলাজ পোস্টও করেছিলেন মহুয়া। সঙ্গে লিখেছিলেন, ‘২০১৯ সাল থেকে স🌳ংসদে ঝোলাওয়ালা ফকির। ঝোলা নিয়ে এসেছিলাম, ঝোলা নিয়ে চলে যাব (ঝোলা লেকর আয়ে থে, ঝোলা লেকে চল পড়েঙ্গে)।