অনুব্রত মণ্ডলকে বীরভূমের বাঘ বলে অভিহিত করেছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে সেই বাঘ এখন তিহাড় জেলে। এদিন সেই কেষ্টহীন বীরভূমে সভা করলেন ফিরহাদ হাকিম। আর সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। অনেকেই বলছেন বীরভূমে শুক্রবার সভা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারই পালটা সভা এদিন করেছে তৃণমূল।
তবে এবার সেই সভায় কথায় কথায় উঠে এল অবধারিতভাবে কেষ্ট মণ্ডলের প্রসঙ্গ।আর সেই কেষ্ট মণ্ডলের কথা বলতে গেলে কার্যত আবেগে ভাসলেন সোহম চক্রবর্তী। গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত কেষ্ট মণ্ডলকে একেবারে আক্ষরিক অর্থেই মিস করছেন সোহম। এমনকী এনিয়ে নাকি তাঁর মন খারাপও হচ্ছে।
এদিন সভায় দাঁড়িয়ে সোহম জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীসভা ডাকলে তা জনসভা হয়ে যায়। আর জনসভা ডাকলে তা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। কিন্তু আজ মনটা একটু খারাপ। বীরভূমের মাটিতে পা রাখব আর কেষ্টদাকে দেখব না এটা অনেকটা সুন্দরবনে গিয়ে রয়াল বেঙ্গল না দেখার মতো। মনটা খারাপ। কেষ্টদাকে মিস করছি। যদিও আমরা জানি উনি রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়েছেন। আপনাদের সকলের ভালোবাসায় দোয়া আশীর্বাদে কেষ্টদা আবার আপনাদের মধ্যে ফিরে আসবেন। বীরভূমের অভিভাবক হয়ে এই জেলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেই অনুব্রত মণ্ডলকে বাঘের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এমনকী তার জেরে অনুব্রতর সঙ্গে প্রভাবশালী তকমাও জুটে গিয়েছিল। ফের সেই অনুব্রতকে কার্যত বাঘের সঙ্গে তুলনা করলেন অভিনেতা, বিধায়ক সোহম।
তবে এর আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, , জেল থেকে বের হলে অনুব্রত মণ্ডলকে যেন বীরের সম্মান জানানো হয়।
তবে স্থানীয়দের দাবি, এর আগে পুলিশকে বোম মারার নিদান দিতেন অনুব্রত। এমনকী বিরোধীদের গুড় বাতাসা খাওয়ানো, চড়াম চড়াম দেওয়ার নানা পরামর্শও দেওয়া হত। বীরভূমে তাঁর ভয়াবহ রক্তচক্ষুর জেরে মাথা তোলার সাহস ছিল না বিরোধীদের। সেই বীরভূমের বাঘ এখন তিহাড় জেলে। বিরোধীরা তার এই অবস্থানকে ঘিরে নানা কটাক্ষ করছে। তবে সোহমের দাবি, আবার ফিরে এসে কেষ্ট মণ্ডল বীরভূমের অভিভাবক হয়ে জেলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক