নয়াদিল্লিতে গিয়ে যন্তরমন্তরে ধরনা দেবেন তাঁরা। সেখান থেকে দ্রৌপদী মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে স্মারকলিপি দেবেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ’র দাবিতে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারীরা। আইনত শহিদ মিনার সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন।
ডিএ আন্দোলন সরিয়ে দিতে চাইছে সেনাবাহিনী।
মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) দয়ার দান নাকি অধিকার— এই নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাই নিয়ে মামলা মোকদ্দমা সবই হয়েছে। এমনকী রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চলছে। আর এই ভাতা পেতে শহিদ মিনারে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ অবস্থান করে চলেছে। আর এই অবস্থান সরিয়ে দিতে চাইছে সেনাবাহিনী। তার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সেনাবাহিনী। এদের সরিয়ে দিতে মামলা পর্যন্ত করা হয়েছে। যা চলতি সপ্তাহে শুনানি হবে বলে সূত্রের খবর।
কেন এমন পদক্ষেপ সেনাবাহিনীর? সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শহিদ মিনারের পথে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তবে এই জায়গায় অবস্থান আন্দোলনের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা এখন অতিক্রম হয়ে গিয়েছে। তারপরও কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। এটা কার্যত আদালত অবমাননা। তাই আগামী শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। আইনত শহিদ মিনার চত্বর সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন। সেখানে তাদের অনুমতি নিয়েই পদযাত্রা থেকে সভা–সমাবেশ করতে হয়। তাই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবি তুলে শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। এমনকী এখন তাঁরা নয়াদিল্লি পর্যন্ত গিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে। কিন্তু ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৭ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিব আলোচনায় বসবেন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তিন সদস্যের সঙ্গে।