কলকাতা হাইকোর্টে একটা অদ্ভূত ঘটনা ঘটেছে। একটি মামলা হয়েছে। আর যিনি মামলা করেছেন তিনি তিন মাস আগে মারা গিয়েছেন। তাহলে তিন মাস পর তিনি মামলা করলেন কেমন করে? উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কি মামলার সঙ্গে ভূতের যোগ রয়েছে? এমন প্রশ্ন তুলে অনেকে হাসছেন। এই ঘটনা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ন্যায্য পেনশন তিনি পাননি বলে অভিযোগ। আর ꧙এই অভিযোগ তুলে তাঁর ন্যায্য প্রাপ্তির আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক শিক্ষক। তবে সরকারি নথি থেকে জানꦍা যাচ্ছে, মৃত্যুর প্রায় তিন মাস পরে ওই শিক্ষক মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্টে।
এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারছেন না। এই মামলার শুনানি চলাকালীন এই কথা সামনে আসতেই চলতি সপ্তাহেই বাকরুদ্ধ হয়ে যান বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তারপর সব কথা শুনে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, কলকাতা হাইকোর্টের সঙ্গে জালিয়াতি কর✃া হয়েছে। এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্ট যথাযথ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিতে পারত। তবে মামলাকারীর পক্ষ ওই মামলা খারিজ করার আর্জি জানানো হয়েছে বলে অবশেষে তিনি অনুসন্ধানের নির্দেশ দেননি। বরং ওই মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন রাজাশেখর মান্থা। এমনকী এই মামলায় আগে মামলাকারীকে পেনশন নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সেটাও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: যাদবপুর থানায় তলব সৃজন ভট্টাচার্যকে, আজ সন্ধ্যে ৬টায় হাজিরা দিতে নির্দেশ জারি
কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, এক স্কুলশিক্ষক ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। ওই বছরেরই ১৩ ডিসেম্বর ন্যায্য পেনশন দেওয়া নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশ দেন বিচারপতি। তারপর সেটা নিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য হয়নি। এবার চলতি সপ্তাহেই সংশ্লিষ্ট মামলাটি আবার ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। তাতে রাজ্য সরকার সরাসরি আদালতকে জানিয়ে দেয়, ওই নির্দেশ পালন করার জন্য খোঁজখবর করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, ওই মামলা দায়েরের আগেই মামলাকারী মারা গিয়েছেন। তাহলে মামলা দায়ের করওলেন কে? বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা রায়ে উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের হয়েছে। অথচ মামলাকারী ওই বছরের ১৮ জুন মারা গিয়েছেন।