প্রথমদফায় বৃহস্পতিবার সকালে প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাট ও বাগানবাড়ি ও নিউটা📖উনের অফিসে হানা দেয় ইডি আধিকারিকেরা। বেলায় সেখান থেকে চলে গেলেও প্র🃏সন্নর নিউটাউনের অফিসে তল্লাশিতে চালাতে থাকেন ইডি আধিকারিকেরা। প্রায় ২১ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি ট্রাঙ্ক ও তিনটি ট্রলিতে করে কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘মিডিলম্যান’ হিসাবে গ্রেফতার করা হয় প্রসন্নকে। তিনি সদ্য জামিনে ছাড়াও পেয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকেরা। এদিন তাঁরা প্রসন্নর একধিক ফ্ল্যাট ও বাগানবাড়িতে হানা দেন। একই সঙ্গে তল্লাশি চলে প্রসন্ন রায়ের নিউটাউনের অফিসেও। ফ্ল্যাট ও বাগানবাড়ি থেকে চলে গেলে প্রসন্ন অফিসে তল্লাশ💖ি চলতে থাকে।
রাত আটটা নাগাদ অফিসে আসেন প্রসন্ন রায় ও তাঁর স্ত্রী কাজলি সোনি রায়। তাঁদের দুজনকে বেশ🌊 খানি ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকেরা। একই সঙ্গে অফিসে উপস্থিত কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। কী জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সে ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে মুখ খোলননি প্রসন্ন ও তাঁর স্ত্রী।
ইডি সূত্রে খবর, প্রসন্ন অফিস থেকে বেশ কিছু আর্থিক লেনদেন-সহ নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নথির মধ্যের 💫ব্যাঙ্কের পাশবইও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাত সকালে ইডি আধিকারিকেরা প্🔯রসন্নের অফিসে প্রথম হানা দেন। কিন্তু চাবি না থাকায় তাঁর ভিতরে ঢুকতে পারেননি। প্রায় ২ ঘণ্টা তাঁদের সেখানে অপেক্ষা করতে হয়। দুঘণ্টা পর চাবি মিললে, তাঁরা অফিসে ঢোকেন। ২১ ঘণ্টা তল্লাশির শেষে সেখানে থেকে বের হন তাঁরা।
ন🗹িয়োগ দুর্নীতিতে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও তৃণমূল বিধায়ক জীবন সাহার ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়। শুধু প্রসন্ন নয়, তাঁর ঘনিষ্টদের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। প্রসন্ন ঘনিষ্ট এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর রোহিত ঝাঁ বাড়িতেও তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকেরা।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৭ অগাস্ট, নিউটা☂উনের একটি হোটেলের সামনে থেকে প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি ছিল, শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এই প্রসন্ন রায় ছিলেন একজন 'মিডলম্যান'। তাঁর মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকা তোলা হতো। প্রসন্ন রায়, তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নামে সাড়ে চারশো কোটির সম্পত্তি রয়েছে বলে বলে দাবি করে সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতির টাকাতেই সেই সমস্ত সম্পত্ত🌜ি কেনা হয়েছিল বলেও দাবি কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার। পরে গত বছরের ১০ নভেম্বর, নিয়োগ দুর্নীতির দু'টি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান 'মিডলম্যান' প্রসন্ন রায়।