২০১৬ এর এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল।আর সেই মিছিলের পুরোভাগে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কার্যত হাইকোর্ট চলো অভিযান তাঁদের। তবে মাঝপথেই পুলিশ তাদের আটকে দেয়। রাস্তাতেই বসে পড়েন কুণাল ঘোষ। আর সেখান থেকেই আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যকে নিশানা করে তোপ দাগলেন কুণাল। তবে অনেকের মতে, যে বাংলায় দুর্নীতির জেরে একের পর এক চাকরি থমকে গিয়েছে, সেখানে কুণাল ঘোষের নেতৃত্বে এই মিছিল দেখে হতবাক অনেকেই।
কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বিকাশ ভট্টাচার্যের মামলার জন্য এদের চাকরি আটকে যাচ্ছে। এদের দাবি( এক (বিচারপতির নাম করে কুণাল ঘোষ বলেন) তাঁর মধ্য়ে একটা অভিজিৎ গাঙ্গুলির প্রেতাত্মা লুকিয়ে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এদের চাকরির ব্যবস্থা করছেন। এরা কেউ বলছেন গায়ে আগুন দেব, কখনও বলছেন বিচারপতির বাড়ির দিকে যাবেন। প্রথম থেকে ওদের সঙ্গে রয়েছি। মাঝপথে সরে যেতে পারি না। এটা কোনও অভিযান নয়, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। এর সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। এরা যোগ্য, বৈধ। বিচারপতি ( এক বিচারপতির নাম উল্লেখ করেন কুণাল ঘোষ) এদের জীবনের সর্বনাশ করে দিয়েছেন।
কার্যত বিচারপতির নাম উল্লেখ করে একের পর এক তোপ দাগেন কুণাল ঘোষ।
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীরা যারা এই মিছিলে রয়েছেন তাঁদের কাছে আমার আবেদন এই ধরনের দুর্নীতি যারা করেন তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন না। তৃণমূল দল বা কুণাল ঘোষের মতো দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করবেন না। ছাত্র সমাজ এই দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করবেন না। যারা চাকরি পাচ্ছেন না বলছেন তাদের বুঝতে হবে এই সরকার এই তৃণমূল দল দুর্নীতিতে যুক্ত।
চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, আমরা প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চাইছি। মানুষের জন্য় আইন। আমরা চাইছি প্রধান বিচারপতি হস্তক্ষেপ করে বিচারের নামে এই নরকযন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিন। ৬৮টি শুনানি করে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারছেন না। এটা কেমন কথা!
চাকরিপ্রার্থীদের হাইকোর্ট চলো মিছিল। আর সেই মিছিলের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, দিনের পর দিন ধরে মামলা চলছে। ২০১৬ সালে তারা পাশ করেছেন কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিষয়ের উপর তাঁরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি, মিথ্য়ে মামলা দিয়ে আমাদের চাকরি আটকে দিয়েছে।
কুণাল ঘোষ পুলিশকে বলেন, একদিকে কিছু লোক বলবে রাজ্য সরকার এই করছে ওই করছে।আর কোর্টে গিয়ে এদের চাকরি আটকে যাবে এটা হতে পারে না।