মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক নানা আঙ্গিকের বই রয়েছে। সেই বইয়ের ছড়া নিয়ে বিরোধীরা নানাভাবে 💛ঠেস দেন মাঝেমধ্যেই। এপাং ওপাং ঝপাং তো একেবারে রাজনৈতিক সভায়, মাঠে ময়দানেও উচ্চারিত করেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারাও। তাতে কী? মমতা অবশ্য় একাধিকবার জানিয়েছেন, বই থেকে যে রয়ালটি তিনি পান তাতেই তাঁর খরচ চলে। তবে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা সেই বই থাকবে পুরসভার স্কুলগুলিতে। খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম বিষয়টি খোলসা করেছেন।
ফিরহাদ হাকিম সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, বাচ্চাদের মন বুঝে তিনি লিখেছেন। আমিও অনেকগুলো কিনেছি। খুব ভালো লাগবে। খুব আনন্দ লাগবে। সেই সঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের সংযোজন, মুখ্য়মন্ত্রীর বাচ্চাদের জন্য লেখা অনেক বই র🐻য়েছে। মিষ্টি মিষ্টি পদ্☂য আছে।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর সেই মিষ্টি মিষ্টি পদ্যই এবার পড়বে পুরসভার স্কুল পড়ুয়ারা। একাধিক বই রয়েছে। মোদের দেশ, মানুষ প🐓াখি, মিলন তীর্থ, হাঁটি হাঁটি পা পা। তবে ঠিক কোন বইগুলো থাকবে পুরসভার স্কুলে সেটা পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে মনে করা হচছে শিশু পাঠ্য বইগুলোই রাখা হবে পুরসভার স্কুলে।
তবে এর আগে পুরসভার ཧস্কুলে যে লাইব্রেরি রয়েছে সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর বই রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবার সার্বিকভাবে পুরসভার আওতায় থাকা সমস্ত স্কুলেই ধাপে ধাপে মুখ্যমন্ত্রীর বই রাখা হতে পারে।
মুখ্য়মন্ত্রীর একাধিক বইতে দেখা যায় লেখার তুলনায় ছবির পরিমাণ বেশি। আর এই ছবি সমৃদ্ধ বই বাচ্চাদের কাছে যথেষ্💯ট আকর্ষণীয়।
কলকাতা পুরসভার আওতায় ২৪২টি স্কুল রয়েছে। তবে কিছু স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ক্রমেই কমে গিয়েছে। একাধিক স্কুলকে পরস্পরের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে পুরসভার পাঁচটি স্কুলে পাঠাগার 🥂রয়েছে। সেখানে এই ধরনের বই আগেই রাখা হয়েছিল।
এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পার্কিং ফি আরোপকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্য়ে পুরসভা ও নবান্নের মধ্য়ে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল বলে খবর। মুখ্যমন্ত্রীকে অন্ধকারে রেখে পার্কিং ফি অতিরিক্ত আরোপ করা হয়েছিল বলে খবর। তবে এনিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধার আগেই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি জানতেন না। এই ফি প্রত্যাহার করার ব্যাপারে বলা হয়েছে। তবে কি মুখ🔯্যমন্ত্রীকে তুষ্ট করতেই এবার তাঁর লেখা বইয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম? এনিয়ে চর্চা তুঙ্গে।