ডেভিড মালানের সেঞ্চুরি ও মইল আলির দুরন্ত বোলিং-এর দৌলতে চতুর্থ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে ১০০ রানে হারিয়ে দিল ইংল্যান্ড। এদিনের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ব্রিটিশরা স্কোর বোর্ডে তোলে নয় উইকেটের বিনিময়ে ৩১১ রান। জবাবে ৩৮.২ ওভারে নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করে ২১১ রান, তবে ততক্ষণে অলআউট হয়ে যায় তারা। এই জয়ের ফলে চার ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ০-১ পিছিয়ে যাওয়ার পরেও, ৩-১ ব্যবধানে নিজেদের দখলে করে নিয়েছে জোস বাটলারের ইংল্যান্ড।
এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড দল। ডেভিড মালান ১১৪ বলে ১২৭ রানের ইনিংস খেলেন। এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৪টি চার ও তিনটি ছক্কা দিয়ে। এছাড়া জোস বাটলার ৩৬ রান করেন। জো রুট ২৯ রান এবং লিয়াম লিভিংস্টোন ২৮ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে চার উইকেট নেন রচিন রবীন্দ্র। হেনরি এবং মিশেল দুটি করে সাফল্য পেয়েছেন। পরে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৮.২ ওভারে ২১১ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড দল। রচিন রবীন্দ্র ৬১ ও হেনরি নিকোলাস ৪১ রান করেন। ইংল্যান্ডের হয়ে চার উইকেট নেন মইন আলি। চার ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ড জিতেছিল। এরপর টানা তিন ম্যাচ জিতে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ দখল করল ইংল্যান্ড।
এদিনের ম্যাচের কথা বলতে গেলে প্রথমে ব্যাট কতে নেমে মাত্র ১৩ করেই সাজঘরে ফিরেছিলেন জনি বেয়ারস্টো। এরপরে মালান ১১৪ বলে ১২৭ রান করে দলকে এগিয়ে নিয়ে য়ান। এর মাঝে রুট ৪০ বলে ২৯ করে আউট হন। ব্রুক ১৫ বলে ১০ রান করেন। বাটলার ৩১ বলে ৩৬ রানের ঝকঝকে ইিংস খেলেন। লিভিংস্টোন করেন ৩৮ বলে ২৮ রান। মইন আলি এদিন ব্যাট হাতে সফল হতে পারেননি। ৮ বলে ৩ রান করে রচিন রবীন্দ্রর শিকার হন তিনি। স্যাম কারান ১৩ বলে ২০ রা করেন। ১১ বলে ১৯ করে আউট হন উইলি। কার্সে ১৫ ও টোপলে ১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
জবাবে রচিন রবীন্দ্রের ৪৮ বলে ৬১ রান ছাড়া কোনও কিউয়ি ব্যাটারই এদিন সফল হতে পারেননি। তবে হেনরি নোকলস ৪৮ বলে ৪১ রান করেছিলেন। উইল ইয়ং ৩১ বলে ২৪ রান করে লড়াইয়ের শুরু করলেও তিনি সফল হতে পারেননি। ১০ ওভারে ৫০ রান দিয়ে চর উইকেট শিকার করে ম্যাচের রঙ বদলে দেন মইন আলি। ২১১ রানেই শেষ হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। ১০০ রানে ম্যাচ হারে নিউজিল্যাল্ড। আসন্ন বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাসটা বাড়িয়ে নিল ইংল্যান্ড।