দীর্ঘ ১২ বছর পরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেতাব পুনরুদ্ধার করে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত বিরাট কোহলি। কেরিয়ারের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ নিপারদ দেখেও তৃপ্ত শোনায় বিরাটকে। তবে এমন সুখের দিনেও প্রিয় বন্ধুর জন্য খারাপ লাগা থেকেই গেল কোহলির। সেটা জানাতে কুণ্ঠাবোধও করলেন না তিনি। বন্ধু যখন হেরে যাওয়া দলে থাক, তখন মন খারাপ করা স্বাভাবিক বলেও জানিয়ে গেলেন বিরাট।
এক্ষেত্রে নাম না করেও কোহলি বুঝিয়ে দিলেন কার কথা বলছেন। রবিবার দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে খেতাব জেতে ভারতীয় দল। নিউজিল্যান্ড স্কোয়াডের সব থেকে অভিজ্ঞ তারকা কেন উইলিয়ামসন যে বিরাট কোহলির অন্তরঙ্গ বন্ধু, সেটা কারও অজানা নয়। তাই রবিবার বন্ধু উইলিয়ামসনকে পরাজিত শিবিরে মাথা নীচু করে থাকতে দেখে খারাপ লাগে বিরাটের।
কোহলি ম্যাচের শেষে সেলিব্রেশনের ফাঁকেই ব্রাডকাস্টারদের বলেন, ‘আমার কাছের বন্ধুকে হেরে যাওয়া দলে দেখে খারাপ লাগছে। তবে এটাই হয়। আমিও বার দু’য়েক পরাজিত শিবিরে ছিলাম, যখন ও জয়ী দলের সদস্য ছিল।'
উল্লেখ্য, ২০২১ টেস্টে চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যায় ভারত। তখন কেন উইলিয়ামসন ছিলেন বিজয়ী শিবিরে এবং কোহলি ছিলেন পরাজিত শিবিরে।
ভারত টুর্নামেন্টে আগাগোড়া দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে। সব ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ইন্ডিয়া। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের পারফর্ম্যান্সে খুশি কোহলি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বড় টুর্নামন্টে কিউয়িদের ধারাবাহিকতায় মুগ্ধ শোনায় বিরাটকে। তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেন নিউজিল্যান্ডের। এমনকি কিউয়িদের বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং দল তকমা দিতেও দু'বার ভাবেননি কোহলি।
‘বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং দল নিউজিল্যান্ড’
বিরাট বলেন, ‘এমন সীমিত ক্রিকেটারদের পুল নিয়ে ওরা (নিউজিল্যান্ড) কী করে দেখাতে পার, সেটা ভেবেই অবাক হতে হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে ওরা নিজেদের প্রতিভার পূর্ণ ব্যবহার করে। যতবার আপনি বড় ম্যাচে ওদের বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন, জানবেন যে, ওরা একটা পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামছে। আর কোনও দল ওদের মতো পরিকল্পনার যথার্থ প্রয়োগ করতে পারে না।’
বিরাট আরও যোগ করেন, ‘ওদের প্রতিটা ফিল্ডার জানে, বোলার কোথায় বল রাখতে পারে। ওরা যেভাবে বলের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে, তা দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন সেটা। ওদের কুর্নিশ জানাতেই হয়। গত কয়েক বছরে বড় টুর্নামেন্টে সম্ভবত নিউজিল্যান্ডই সব থেকে ধারাবাহিক দল। নিশ্চিতভাবেই ওরা এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং দল।’