পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক একদম তলানিতে এসে ঠেকেছে পহেলগাঁওতে বেছে বেছে হিন্দুদের খুন করার পর। সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিগুলো একদিন আগেই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছে ভারতীয় সেনা। এরপর 💃পাকিস্তানও পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করলেও তা ভেস্তে দিয়েছে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। যেদিকে বিষয়টা গড়াচ্ছে, তা খুব একটা মোটেই ভালো জিনিস হচ্ছে না সেটা বলাই বাহুল্য। যেখানে নিজের দেশের জঙ্গি কার্যকলাপ রোখার কথা পাকিস্তানের, সেখানেই তাঁরা সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিয়ে ভারতকে ক্ষত বিক্ষত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে ভারত
পাকিস্তান সম্প্রতি দাবি করেছে তাঁরা নাকি ভারতের পাঁচটি এয়ꦿার ফোর্স জেটকে ধ্বংস করেছে। এদিকে পাকিস্তানের মদতপুষ্ঠ লস্কর ই তইবার তরফে পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে। যদিও পাকিস্তান রয়েছে পাকিস্তানেই। ভারতের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়েছে তাঁদের দেশের ধর্মিয় স্থানে নাকি আঘাত করেছে ভারত, এছাড়াও সাধারণ মানুষেরও নাকি প্রাণহানি হয়েছে।
আর্শাদের পোস্টের নীরজকে একহাত নেটিজেনদের
এরই মধ্যে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে আসল চেহౠ🌜ারাটাই বের করে ফেললেন সোনাজয়ী অলিম্পিয়ান আর্শাদ নাদিম। একটা সময় ভারত-পাকিস্তান বন্ধুত্বের কথা বলা আর্শাদ পাকিস্তানের পতাকা হাতেই একটি ছবি পোস্ট করলেন সোশাল মিডিয়ায়। অপারেশন সিঁদুরের কয়েক ঘন্টার পরই নিজের সোশাল মিডিয়ায় পাকিস্তানের পতাকা হাতে একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখলেন, ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ ’।
অশান্তিপ্রিয় পাকিস্তানের পাশে আর্শাদ
অর্থাৎ নিজের দেশ অন্যায় করে অন্য দেশকে ক্ষত বিক্ষত করলেও তিনি যে অশান্তি প্রিয় পাকিস্তানের পক্ষেই রয়েছে, সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে সেটা বুঝিয়ে দিলেন আর্শাদ নাদিম। আর এই পোস্টরে পরই নীরজ চোপড়াকে একহাত নিয়েছে ভারতের নেটিজেনদের একাংশ। কারণ এক বছর আগেই নীরজ অলিম্পিক্সে রুপো জেতার পর আর্শাদের স𝔍ঙ্গেই ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। এছাড়াও সম্প্রতি নীরজ চোপড়া ক্লাসিক জ্যাভলিন থ্রো ইভেন্টেও আর্শাদকে তিনি আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন ভারতে খেলতে আসার জন্য। যদিও আর্শাদের অন্য জায়গায় ক্যাম্প থাকায় তিনি আসতে পারেননি।
নীরজও পোস্ট করে ভারতীয় সেনার হয়ে
প্রসঙ্গত নীরজ চোপড়া গতকালই অর্থাৎ বুধবারই ভারতীয় আর্মির তরফে দেওয়া অপারেশন সিঁদুরের পোস্টটি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন এবং লেখেন, ‘Justice is Served… Jai Hind! ’। অর্থাৎ নীরজও যে নিজের দেশের পাশেই রয়েছে, সেকথা বলার বাকি নেই। কিন্তু নেটিজেনদের কিছু অংশ পাকিস্তানের কাজে এতটাই মর্মাহত যে নীরজের এই পাকিস্তানের খেলোয়াড়ের প্রতি ভ্রাতৃত্ববোধ মেনে নিতে পারছেন না। কিন্তু এক্ষেত্রে বুঝতে হবে, ভারতীয়দের মধ্যে যে স্নেহ বা মায়া দয়ার মানসিকতা রয়েছে পারিবারিক শিক্ষার কারণে, সেটা অন্য দেশের নেই। তা💮ই ছোট থেকে ভালো শিক্ষার জেরে নীরজ যেটা করেছেন, সেটাকে হয়ত অন্যায় বলে ধরে নেওয়া যায় না, কারণ তিনি দেশকে এক নয়, একাধিকবার বিশ্বমঞ্চে গর্বিত করেছেন।