ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার মুরলি কার্তিক এবার তীব্র সমালোচনা করলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার। তিলক বর্মাকে রিটায়ার্ড আউট করিয়ে মিচেল স্যান্টনারকে নামানোর পরেও, তাঁর ব্যাটিং ক্ষমতার উপর যথেষ্ট আস্থা রাখেননি হার্দিক। আর তার জন্যই হার্দিককে ধুইয়ে দিয়েছেন মুরলি কার্তিক। এই প্রসঙ্গে তিনি টেনে এনেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। তিনি বলে দিয়েছেন, সিঙ্গলꦓ না নেওয়ার প্রবণতাটা ধোনিই চালু করেছিলেন।
আরও পড়ুন: তিলককে রিটায়ার্ড আউট করার সিদ্ধান্ত ম⛦ানতে পারেননি, তীব্র বিরোধীতা করেন সূর্য, সেই ভিডিয়ো হল ভাইরাল
সিঙ্গেল নিতে অস্বীকার করেন হার্দিক
আসলে শেষ ৬ বলে মুম্বইয়ের যখন ২২ রান দরকার ছিল, তখন আবেশ খান বল করতে এলে হার্দিক প্রথম বলে ছক্কা মারেন। এর পর ৫ বলে দরকার ছিল ১৮ রান। দ্বিতীয় বলে বড় শট না মারতে পেরে, ২ রান নেন হার্দিক। 🐼তার পরের দুই বলে কোনও রান নেননি হার্দিক। তৃতীয় এবং চতুর্থ বলে, স্যান্টনার সিঙ্গল নিতে গেলে, তিনি তাঁকে ফিরিয়ে দেন মুম্বই অধিনায়ক। রাজি হননি সিঙ্গল নিতে। পঞ্চম বলে সিঙ্গেল ♛নিয়ে স্যান্টনারকে স্ট্রাইক দেন হার্দিক। ততক্ষণে ম্যাচ হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে।
মুম্বই অধিনায়কের তীব্র সমালোচনা
আসলে স্ট্রাইক ধরে রাখতে চেয়েছিলেন হার্দিক। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। বরং তিনি সিঙ্গেল নিতে রাজি না হওয়ার কারণে সমালোচনার শিকার হয়েছেন। স্যান্টনার শেষ পর্যন্ত ২ বলে ১ রান করে অপরাজিত থাকেন। হার্দিক ১টি ছক্কা এবং ২টি চারের হাত ধরে ১৬ বলে ২৮ রান করেন। শেষমেশ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১২ রানে ম্যাচটি হারে। ক্রিকবাজে এই প্রসঙ্গে মুরলি কার্তিক বলেছেন, ‘আমি বুঝতে পারিনি, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কী করতে চাইছিল। আপনি যদি মনে করেন যে তিলক ভালো খেলছে না, ও ভালো ভাবে বল হিট করতে পারছে না, যে কারণে স্যান্টনারকে নামিয়েছেন, অথচ তিনি ১ বলে ২ রান করেছেন। আপনি যদি স্যান্ট🦄নারকে এই বিশ্বাসে নামিয়ে থাকেন যে, ও বড় শট মারতে পারে, তাহলে কেন শেষ ওভারে সিঙ্গেল নেওয়া হয়নি? যে শটগুলো পান্ডিয়া মিস করেছে, কে বলতে পারে, সেই বলগুলোতেই হয়তো ছক্কা মারত স্যান্টনার।’
ধোনিকে ঠুকলেন মুরলি
এখানেই থামেননি প্রাক্তন বাঁ-হাতি স্পিনার। বরং তিনি এই প্রসঙ্গে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে টেনে এনে, তাঁকে একহাত নিয়েছেন। মুরলি কার্তিক দাবি করেছেন, এই প্রবণতাটা ভারতের কিংবদন্তি অধিন🍌ায়ক ধোনির জন্যই চালু হয়েছেন। কার্তিকের সাফ💯 বক্তব্য, ‘আমি মনে করি এমএস ধোনি সিঙ্গল নিতে রাজি না হওয়ার এই প্রবণতাটা শুরু করেছিলেন। এখন অনেক খেলোয়াড়ই এটি ফলো করছেন।’