ঘরের মাঠে অসমকে হারাতে বিশেষ বেগ পেতে হল না অজিঙ্কা রাহানেদের। নিজেদের ডেরায় মাত্র দু'দিনেই তুলনায় দুর্বল প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিল রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে সব থেকে সফল দল মুম্বই। তাদের জয়ে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন শিবম দুবে। বল হাতে কার্যত একাই অসমকে ধ্বংস করেন শার্দুল ঠাকুর।
শরদ পাওয়ার ক্রিকেট অ্যাকাডেমি গ্রাউন্ডে অসমকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮৪ রানে অল-আউট করে দেয় মুম্বই। অভিষেক ঠাকুরি ৩১, আবদুল আজিজ ১৫ ও সাহিল জৈন ১২ রান করেন। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। বল হাতে আগুন ঝরান শার্দুল ঠাকুর। তিনি ১০.১ ওভার বল করে মাত্র ২১ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট দখল করেন। ২টি উইকেট নেন শামস মুলানি। ১টি করে উইকেট নেন মোহিত আবস্তি ও তুষার দেশপান্ডে।
পালটা ব্যাট করতে নেমে মুম্বই তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ২৭২ রান। দুর্দান্ত শতরান করেন শিবম দুবে। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তিনি ১২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৪০ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ১১টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। ২৬ বলে ৩০ রান করেন পৃথ্বী শ। তিনি ৬টি চার মারেন। শামস মুলানি ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ বলে ৩১ রান করে মাঠ ছাড়েন। ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৮ বলে ১৮ রান করেন তুষার দেশপান্ডে। অসমের দিবাকর জোহরি ৭৪ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন। ৪২ রানে ২টি উইকেট নেন রাহুল সিং।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৮৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে অসম। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১০৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। এক ইনিংস ও ৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জেতে মুম্বই। দ্বিতীয় ইনিংসে অসমের হয়ে সব থেকে বেশি ৩০ রান করেন সুমিত। ৬১ বলের ইনিংসে তিনি ৪টি চার মারেন। ২২ রান করেন আবদুল আজিজ। ২৬ বলের ইনিংসে তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে মুম্বইয়ের হয়ে ৩১ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর। অর্থাৎ, দুই ইনিংস মিলিয়ে ম্যাচে মোট ১০টি উইকেট নেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে মোহিত আবস্তি ও তুষার দেশপান্ডে নেন ২টি করে উইকেট।