ভারতের কাশ্মীরের🌄 পাহলগাঁওতে ২২ এপ্রিল ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালায় পাকিস্তানের জঙ্গিরা। এরপর ভারতও পাল্টা জবাব দেয় ২ সপ্তাহ যেতে না যেতেই। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে (PSL) ২০২৫ স্থগিত হতে পারে। পাকিস্তানের তরফে করা হামলায় ২৬ জন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন পহেলগাঁওতে। এরপর ভারতীয় সেনাবাহিনী 'অপারেশন সিন্দুর'-এর মাধ্যমে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিগুলোয় আক্রমণ চালিয়েছে। জানা গেছে ভারতের এই আক্রমণের টার্গেটে ছিল জইশ-ই-মহম্মদের বাহাওয়ালপুরের ঘাঁটি এবং লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি।
PSL নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেবে পিসিবি
জিও নিউজের এক প্রতিবেদন অনুসারে, (PCB)-র কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি সামগ্রিক ধারণা পেতে এবং টুর্নামেন্টের উপর এর সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়নের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন বিদেশি ক্রিকেটার দেশে ফিরতে চেয়েছেন, বলে জানা গেছে। জানা গেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে পাকিস্তান বোর্ডের বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে PSL𝓀 চালু রাখা হবে, না স্থগিত করে দেওয়া হবে। বিকল্প ভেনুতেও ম্যাচ সরানোর কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
স্থগিত হয়ে যেতে পারে PSL
💮ক্রমশ উত্তেজনা বেড়ে চলার পাশাপাশি আকাশসীমা বন্ধ হওয়ার ফলে ইতিমধ্যেই খেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে পরিবহনগত সমস্যা বেড়েছে পাকিস্তান সুপার লিগে। ফলে সেদেশের লিগের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, যদি এখনই শান্তি না ফেরে এবং উত্তেজনা বাড়তে থাকে তাহলে PSL যে কোনও সময় স্থগিত করে দেওয়া হতে পারে।
দুবাই এবং দোহা কি সম্ভাব্য বিকল্প?
পাশাপাশি অন্য একটি প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে PCB 🦩পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ইতিমধ্যেই চলতি পিএসএলকে দুবাই এবং দোহায় স্থানান্তর করার চিন্তাভাবনা করছে। এছাড়াও গ্রুপ স্টেজের বাকি ম্যাচগুলো আর রাওয়ালপিন্ডি, মুলতান বা লাহোরে না করে করাচিতে আয়োজন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্রেফ ভারতই নয়, বালোচিস্তানের বিক্ষোভকারীরাও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভ্যান্তরীণ প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে, যা আসতে আসতে ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ম্যাচ রয়েছে রাওয়ালপিন্ডিতে
বৃহস্পতিবার রয়েছে করাচি কিংস বনাম পেশোয়ার জালমির ম্যাচ♕। সেই ম্যাচ হওয়ার কথা রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে। কিন্তু আজই খবর পাওয়া গেছে যে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের বাইরে দ্রোণ হামলা এবং বিস্ফোরণ করা হয়েছে। জানা গেছে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ফাঁকি দিয়েই এই হামলা চালিয়েছে ভারত। ফলে এই অবস্থায় আদৌ রাওয়ালপিন্ডিতে ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তান বোর্ড ম্যাচ আয়োজন করবে কিনা, সেই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।