জম্মু-কাশ্মীরের বিরুদ্ধে গত ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৫১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৯ রান করেন শার্দুল ঠাকুর। সেই সঙ্গে বল হাতে একজোড়া উইকেট নেন তিনি। তা সত্ত্বেও মুম্বই ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়ে। ফলে ট্র্যাজিক হিরো হয়ে থেকে যেতে হয় শার্দুলকে। তবে সেই দুঃখ পরের ম্যাচেই মিটিয়ে নিলেন শার্দুল।
এবার মেঘালয়ের বিরুদ্ধে ফের ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দেন শার্দুল। মুম্বইকে ইনিংসের ব্যবধানে ম্যাচ জিতিয়ে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার জেতেন তিনি। মেঘালয়ের বিরুদ্ধে একটি ইনিংসে ব্যাট করে শার্দুল ৪২ বলে ৮৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তিনি ৯টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন।
সেই সঙ্গে প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানে ৪টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৮ রানে ৪টি উইকেট নেন শার্দুল। অর্থাৎ দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুই ইনিংসে মোট ৮টি উইকেট সংগ্রহ করেন তিনি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, প্রথম ইনিংসে পরপর তিন বলে তিনটি উইকেট তুলে ব্যক্তিগত হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন শার্দুল ঠাকুর।
মেঘালয়ের প্রথম ইনিংস
মুম্বইয়ে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মেঘালয়। তবে তারা প্রথম ইনিংসে ২৪.৩ ওভারে মাত্র ৮৬ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হিমান ফুকান দলের হয়ে সব থেকে বেশি ২৮ রান করেন। মুম্বইয়ের হয়ে শার্দুলের ৪ উইকেট ছাড়া ৩টি উইকেট নেন মোহিত আবস্তি।
মুম্বইয়ের প্রথম ইনিংস
পালটা ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ৭ উইকেটে ৬৭১ রান তুলে তাদের প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। তারা ১৪০.৫ ওভার ব্যাট করে। ২৫০ বলে ১৪৫ রান করেন সিদ্ধেশ ল্যাড। তিনি ১৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১৫১ বলে ১০৩ রান করেন আকাশ আনন্দ। তিনি ১৫টি চার মারেন। ৮৬ বলে ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন শামস মুলানি। তিনি ১৬টি চার মারেন। ১৭৭ বলে ৯৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন অজিঙ্কা রাহানে। তিনি ১১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। মেঘালয়ের হয়ে ৩টি উইকেট নেন হিমান।