পশ্চিমবঙ্গে যাতে রামনবমী পালন না করা যায়, সেজন্য ষড়যন্ত্র করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। বরং রামনবমী পালনের অনুমতি দিয়েছে 💦আদালত। এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইসঙ্গে তিনি বললেন, ‘আগামিকাল পুরো শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করা হবে।’ আর মোদীর সেই হুংকারের কিছুক্ষণ আগেই জলপাইগুড়ির জনসভা থেকে হাতজোড় করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্জি জানান যে রামনবমীতে যেন রাজ্যে কোনও অশান্তি বা ঝামেলা না পাকানো হয়। শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানান মমতা।
মোদী কী বলেছেন?
বালুরঘাটে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি তথা বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে এসে অযোধ্যার রামমন্দিরের কথা তুলে ধরেন। হিন্দুত্ববাদের তাস খেলে মোদী বলেন, ‘আজ মহাষ্টমী। আর আগামিকাল পুরো দেশ রামনবমী পালন করতে চলেছে। আর এবার রামনবমী অত্যন্ত স্পেশাল। এই নবরাত্রিও অত্যন্ত স্পেশাল। আর এই বাংলা নববর্ষও অত্যন্ত স্পেশাল। এটা প্রথম রা💝মনবমী, যখন অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালাꦐ বিরাজমান আছেন।’
সেইসঙ্গে মমতা সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘আমি জানি যে প্রতিবারের 🌄মতো এবারও এখানে রামনবমী উৎসবকে আটকানোর চেষ্টা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যাবতীয় ষড়যন্ত্র কর🐎ে ফেলেছিল। কিন্তু সত্যেরই জয় হয়। তাই আদালত থেকে অনুমতি এসে গিয়েছে। আর আগামিকাল পুরো শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করা হবে।’
আর মোদী যেদিন তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছেন, তার আগেরদিনই হাওড়ায় শর্তসাপেক্ষে দু’দিন রামনবমীর মিছিল করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রামনবমীর মিছিলের রুট নিয়ে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সেই মামলার শুনানিতে সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে কোনওভা🔥বে মিছিলে কোনওভাবেই অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
বিচারপতি সেনগুপ্ত আরও নির্দেশ দেন, উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না কোনওভাবেই। মিছিল নিয়ন্ত্রণের জন্য পাঁচজন স্বেচ্ছাসেবক রাꦉখতে হবে। আগেভাগেই পুলিশের কাছে তাঁদের নাম দিয়ে রাখতে হব🎶ে আয়োজকদের। সেইসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন যে ২০০ জনের মিছিল যদি রাজ্য পুলিশ সামলাতে না পারে, তাহলে বলার মতো কোনও ভাষা নেই।
আরও পড়ুন: শেষ অর্থবর্ষ🐈ে সর্বোচ্চ রাজস্ব দিয়েছে গার্ডেনরিচ, বিতর্কের মধ্যে খুশির খবর কলকাতা ✤পুরসভায়
মমতা কী আর্জি জানিয়েছেন?
জলপাইগুড়ির সভা থেকে মমতা বলেন, ‘আমি বলে যাই, অনেক জায়গায় বিজেপির দাঙ্গা করার পরিকল্পনা আছে। কেউ দয়া করে পা দেবেন না। সবধর্মই আমাদের ধর্ম। সব উৎসবই আমাদের উৎসব। বিজেপি এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে। কারণ অনেকদিন আগেই ১৯ এপ্রিল নির্বাচন হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। (তাই) ১৭ তারিখ হিংসার পরিকল্পনা করেছে।’ সেইসঙ্গে সংখ্যালঘু এবং সংখ্যাগুরুদের কাছে আর্জি জানান, কেউ যেন প্ররোচনায় পা দেন। ভোটে জিততে বিজেপি ইচ্ছা করে হিংসা ছড়াতে চাইছে বলে অভিꦕযোগ করেন মমতা।