২০২৩ সালে চার বছরের সম্পর্ক ভাঙার ঘোষণা করেছিলেন জিতু কমল আর নবনীতা দাস। তবে এতদিন পর, কেন প্রাক্তনের সঙ্গে কাটানো বিশেষ মুহূর্তের ভিডিয়ো দিলেন সোশ্যালে!
জিতুর সঙ্গে তোলা রিল ভিডিয়ো ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নিলেন নবনীতা।
বিচ্ছেদ যে কতটা কষ্টদায়ক হতে পারে তা বারবার ধরা পড়ে অভিনেত্রী নবনীতা দাসের ইনস্টাগ্রামে। ভালোবেসে ‘বাচ্চা বউ’ ডাকতেন বউকে জিতু কমল। নবনীতাই প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আর বিচ্ছেদের খবরটাও ভাগ করে নিয়েছেন তিনিই। এক সাক্ষাৎকারে সেই সময অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি আর জিতু আলাদা থাকছেন তা বেশিরভাগই জানত না। পরিচিতরা সামনে পেলেই, প্রশ্ন করতেন জিতুকে নিয়ে। সেটা খুব স্বভাবিকও। কিন্তু নবনীতা বুঝে উঠতে পারছিলেন না, কতটা বলা দরকার। কতটা না। তাই সবটা সকলকে স্পষ্ট করতে প্রকাশ্যে এসে করেছিলেন বিচ্ছেদের ঘোষণা। ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এইসব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায় এর ইতিটা নয় এইভাবেই হোক... ভালো থেকো জিতু কমল।’
তবে মুখে বিচ্ছেদের কথা বললেও, ছেড়ে থাকা যা কতটা কষ্টকর তা বুঝিয়ে দিল নবনীতার শেয়ার করা একটি রিল ভিডিয়ো। সোমবার বেশ রাতের দিকে পোস্টটি করেছেন অভিনেত্রী। আসলে দিনভর কাজের শেষে বাড়ি ফিরলেই তো চেপে বসে একাকিত্ব! আলো আর ছায়ায় একসঙ্গে পাহাড়ে কাটানো একটি শীতের সকাল রয়েছে সেখানে। ‘বাতো বাতো সে’… ক্যাপশন রেখেছেন সেখানে। ভয়জ ওভারটি এক মহিলা কণ্ঠে। যা বলছে, কীভাবে পুরুষটি তাঁকে দূরে যেতে বলছে। কারণ দূরে না গেলে ভুলে থাকা সম্ভব হবে না। আর না ভুলতে পারলে যে জীবনটাই যাবে থমকে!
হয়তো এই রিলটি শেয়ার করার সময় ভিজে উঠেছিল নবনীতার চোখের কোল। তাঁর অনুরাগীদেরও কিন্তু মনখারাপ করে দিল জিতু আর নবনীতার এই মিষ্টি মুহূর্ত। একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘অনেক সময় দূরে যাওয়া দরকার হয় কাছে আসার জন্য। তোমাদের একসঙ্গে খুব ভালো লাগে। খুব ভালো থেকো।’ অপরজন লিখলেন, ‘একসঙ্গে দেখে ভালো লাগল’।
২০১৯ সালের ৬ই মে অগ্নি সাক্ষী রেখে নবনীতাকে বিয়ে করেছিলেন জিতু। কিন্তু চার বছর যেতে না যেতেই ছন্দপতন। বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি কেউই। এমনকী, জিতুর নাম শ্রাবন্তীর সঙ্গে জোড়া হলে, এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করেছিলেন নবনীতা। যদিও নবনীতার সঙ্গে কলকাতার ব্যবসায়ী স্নেহার অধিকারির ‘প্রেম-চর্চা’র সময় মুখ বন্ধই রেখেছিলেন জিতু। তিনি যে প্রাক্তন (আদৌ অফিসিয়ালি তাঁরা আলাদা হয়েছেন কি না তা স্পষ্ট নয়)-কে নিয়ে কোনও খারাপ কথা শুনবেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন শুধু।