'উরি - দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' থেকে 'স্যাম বাহাদুর' এবং 'লক্ষ্য' থেকে ‘শেরশাহ’ বলিউডে আজ পর্যন্ত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি নিয়ে প্রচুর সিনেমা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ ছবিই সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা। কিন্তু বলিউডে এমন একটি সিনেমা র🥂য়েছে যেখানে শ্যুটিংয়ের সময় সত্যিকার অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ছবিটি লঙ্গেওয়ালার যুদ্ধের উপর ভিত্তি করে নির্মিত। দর্শকদের মধ্যেও অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। এই ব্লকবাস্টার হিট সিনেমাটি তৈরি করতে সেই সময়ে ১০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল, যা আজকের মুদ্রাস্ফীতির হার বিবেচনা করে অনেক বেশি হবে। আন্দাজ করতে পারলেন কোন সিনেমা?
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল এমন সব জায়গায় ১৯৯৭ সালের জেপি দত্তের এই ছবির শ্যুটিং হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ছবির শ্যুটিংয়ে আসল বন্দুক এবং অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রধান অভিনেতারা ছাড়া ছবির বেশিরভাগ অভিনেতাই ছিলেন প্রকৃত সৈনিক। ট্যাঙ্ক থেকে শুরু করে এতে দেখানো ছোট-বড় সবকিছুই বাস্তব রাখা হয়েছিল কিন্তু গল্পের কিছু জায়গায়, নির্মাতারা সৃজনশীল স্বাধীনতা নিয়েছিলেন এবং সবকিছু বদলে দিয়েছিলেন। এবার নিশ্চয়ই বোঝা গিয়েছে কোন ছবি। সিনেমাটি হল ‘বর্ডার’। অক্ষয় খান্𒀰না, সুনীল শেট্টি, জ্যাকি শ্রফ এবং সানি দেওলের মতো তারকারা অভিনয় করেছিলেন এই ছবিতে।
‘বর্ডার’ ভারতের সবচেয়ে আইকনিক য🍸ুদ্ধ বিষয়ক একটি ছবি। পরিচালক জেপি দত্তের ভাই ভারতীয় বিমান বাহিনীর একজন পাইলট ছিলেন এবং ১৯৮৭ সালে একটি এমআইজি যুদ্ধবিমান চালানোর সময় নিহত হন, তিনি এই ছবিটি তাঁর ভাইকে উৎসর্গ করেছিলেন। এই ছবিটি তৈরি করার জন্য, জেপি দত্ত তার ভাইয়ের লেখা ডায়েরিগুলি পড়েছিলেন এবং তার অভিজ্ঞতা থেকে রেফারেন্স নিয়েছিলেন। পরিচালক ছবিটির জন্য অনেক বড় মাপের অভিনেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, যার মধ্যে , , এবং অজয় দেবগনদের নাম ছিল, কিন্তু তাঁরা সকলেই কোনও না কোনও কারণে ছবিটি করতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান ‘আরশোলা’, মানচিত্র থেকে মু⛄ছে ফেলার দাবি কঙ্গনার! এখন তিনি ভারত ছেড়ে যাচ্ছেন এই দেশে
বেশিরভাগ অভিনেতাই তাঁদের কেরিয়ারের পিক টাইমে ছিলেন। তাই তাঁরা একাধিক নায়ক-নির্ভর ছবি করতে চাননি। তাই শেষ পর্যন্ত অক্ষয় খান্না এই ছবিটি করেছিলেন। ছবিতে তাঁর চরিত্রটি খুব ভালোভাবে অভিনয় করেছিলেন। তাছাড়াও সুনীল শেট্টিকে যখন এই ছব💦িটির প্রস্তাব দেওয়া হয়, তখন তিনি শুরুতে এটি করতে চাননি। এর পরে জেপি দত্ত আরমান কোহলির কাছে যান। তারপর তিনি আবার সুনীল শেট্টির সঙ্গে যোগাযোগ করেন, শেষে সুনীল এই ছবিটি করার সিদ্ধান্ত নেন। খুব কম লোকই জানেন যে এই ছবিতে এবং ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তাঁরাও ভিন্ন কারণে ছবিটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।