শারীরিক নির্যাতনের একাধিক অভিযোগ উঠেছিল সাজিদ খানের বিরুদ্ধে। নাবালিকা মডেল-অভিনেত্রীকে ছবিতে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে নগ্ন হওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ‘হাউজফুল’-এ একটি চরিত্র পাইয়ে দেওয়ার নামে নাকি তিনি সেরকম করেছিলেন বলেই দাবি করেছিলেন নির্যাতিতা মডেল-অভিনেত্রী পাওলা। তাছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে এক নামজাদা পত্রিকার সাংবাদিক অশালীন আচরণ, শারীরিক হেনস্থা করার অভিযোগও আনেন।
সাজিদ খানের বিরুদ্ধে #MeToo, তাঁর জীবনকে ওলোটপালোট করে দিয়েছিল। তাঁর ক্যারিয়ারকে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল। অবশেষে এই নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন তিনি। হিন্দুস্থান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বিগত বছরগুলিতে মানসিক এবং শারীরিকভাবে কতটা ভেঙে পড়েছিলেন তা জানান।
আরও পড়ুন: নতুন বছরের শুরুতেই বনি-সৌরভের লড়াই! 'ঝড়'-এর মতো ছড়িয়ে পড়েছে খবর, হঠাৎ হল কী?
#MeToo অভিযোগের পর তাঁর জীবন ঠিক কেমন কেটেছে? প্রসঙ্গে সাজিদ বলেন, ‘অনেক সহ্য করেছি। গত ছয় বছরে বহুবার ভেবেছি নিজের জীবন শেষ করে দেব। কাজ থেকে সম্পূর্ণ বাইরে ছিলাম। উপার্জন না থাকায় আমাকে আমার বাড়ি বিক্রি করে ভাড়া ফ্ল্যাটে চলে যেতে হয়েছিল। আমার মা তারপর মারা যান। শুধু অসুস্থতা কারণে তিনি মারা যাননি। আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করেও তিনি ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন।’
এতটা মানসিক অশান্তি ভোগ করেছেন সাজিদ, এর জন্য কি কখনও থেরাপি নেওয়ার কথা ভেবেছেন তিনি? এই প্রসঙ্গে তিনি বলনে, 'না। আমার মায়ের যত্ন নিতে হত। তাই আমি নিজেকে বলতাম, এটা আমার জীবনের পুরো বই না। কেবল একটা অধ্যায় মাত্র।' কিন্তু এতদিন কেন তিনি চুপ করেছিলেন তিনি? সাজিদের মতে, ‘আমি কথা বলতে চাইনি। মা আমাকে বলেছিলেন, নীরবতাই শ্রেষ্ঠ উত্তর।'
আরও পড়ুন: সুশান্ত অতীত, নিখিল কামাথের সঙ্গে গোয়ার বিচে রিয়া? ছবি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই
এই কঠিন সময় পরিবারকে পাশে পেলেও প্রথম দিকে তিনি এই বিষয়ে তেমন কিছুই বলতে পারেননি বাড়িতে। সাজিদের কথায়, ‘যখন আমাকে সিনেমা ছাড়তে হয়েছিল, তখন আমি চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম যে, মা যদি জানতে পারেন, তাহলে তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবে। আমি ফারাহকে (ফারাহ খান তাঁর বোন) বলেছিলাম খবরের কাগজ লুকিয়ে রাখতে। ১০ দিনের জন্য, আমি ভান করেছি যে সবকিছু ঠিক আছে, বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে আবার বাড়ি ফিরে গিয়েছি, যেন সেই সময়টা আমি সেটে ছিলাম।'