পরনে শাড়ি-ব্লাউজ, গলায় রুদ্রাক্ষের বড় একটা মালা, মাথার চুল খোঁপা করে বেঁধে তাতে ফুল লাগানো, আর কপালে বড় একখানা টিপ। চোখে কঠিন দৃষ্ꦬটি। ইনি হলেন শ্রী গৌরী সাওয়ান্ত, ‘যাঁকে কিনা কেউ হিজড়ে বলেন, কেউ আবার বলেন সমাজকর্মী, কারোর কথায় তিনি নাটকবাজ, কেউ বলেন গেম চেঞ্জার।’ এভাবেই নিজেই নিজের পরিচয় করিয়েছেন গৌরী ওরফে ꦗসুস্মিতা সেন। বলেছেন, 'এই কাহিনী গালি থেকে তালি পর্যন্ত।'
হ্য়াঁ, এবার বৃহন্নলার চরিত্রে দেখা যাবে সুস্মিতা সেনকে। সৌজন্যে 'তালি'। সত্যি ঘটনা অবলম্বনে এই ওয়⛦েব সিরিজটি বানিয়েছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক রবি যাদব। ২৮ জুলাই সামনে এসেছে ওয়েব সিরিজের টিজার। যেখানে আরও একবার অন্যরকম চরিত্রে ধরা দিতে চলেছে📖ন সুস্মিতা সেন। তাঁকে এমন লুকে দেখে স্তম্ভিত তাঁর অনুরাগীরা।
আর💟ও পড়ুন-'সেদিন মাথা এতটাই গরম হয়েছিল, যে ওই অনুরাগীকে ঘুষিই মেরে দিতাম', অকপট সতীশ শাহ
জানা যায়, পুণেতে গণেশ নামে জন্ম হয়েছিল শ্রী গৌরী সাওয়ান্তের। অল্প বয়সেই মাকে হারিয়েছিলেন তিনি, ঠাকুমার কাছে বড় হন। তাঁকে নিয়ে হতাশ ছিলেন তাঁর বাবা। কৈশোরেই তাই বাড়ি ছেড়েছিলেন গৌরী। চলে আস🐎েন মুম্বইতে। এরপর তিনি নানান রকম সমাজসেবামূলক কাজ শুরু করেন। ২০০০ সালে ‘সখী 𝓰চর চৌঘী ট্রাস্ট’ নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন, যে সংস্থা বৃহন্নলাদের কাউন্সেলিং এবং নিরাপদ যৌন জীবনের প্রচারে কাজ করে। রূপান্তরকামী, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরাও যাতে সন্তান দত্তক নেওয়ার অধিকার পান, সেজন্য সুপ্রিম কোর্টে তিনিই প্রথম পিটিশন দাখিল করেন গৌরী। তিনি নিজেও এক কন্যা সন্তান দত্তক নেন। আবার তিনিই ছিলেন সেই যুগান্তকারী মামলার আবেদনকারী, যেখানে সুপ্রিম কোর্ট রূপান্তরকামীদের তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দেয়।
এর আগেও শ্রী গৌরী সাওয়ান্তের গল্প উঠে এসেছে। আর এবার তাঁর গল্প উঠে আসতে চলেছে ওয়েব সিরিজে। রবি যাদবের এই ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের জন্য নিজেকে এক্কেবারে বদলে ফেলেছেন সুস্মিতা সেন। চালচলন, বাচনভঙ্গী সবেতেই আমূল পরিবর্তন এনেছেন প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী। ১৫ অগস্ট ꦯথেকে জিও সিনেমায় দেখা যাবে এই ওয়েব সিরিজটি। এছাড়া আর্যা-থ্রিতেও দেখা যাবে তাঁকে। এর আগে আর্যা-থ্রি শ্যুটিংয়ের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সুস্মিতা। পরে বেশকিছুদি কাজ ছেকে বিরতি নেন। সুস্থ হয়ে আবারও কাজে ফিরেছেন তিনি।