দেশে আবার করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। যদিও এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে ভয় কমেছে এবং সচেতনতা বেড়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কি করোনার চার নম্বর টিকা নেওয়ার প্রয়োজন বেড়েছে? কী মনে করছেন দেশের সেরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা? হালে এমনই প্রশ্ন নিয়ে National Technical Advisory Group on Immunization (NTAGI)-এর প্রধান এনকে অরোরার মুখোমুখি হয়েছিল লাইভ মিন্ট।
কী বলছেন এনকে অরোরা? বর্তমান পরিস্থিতিতে ভয় কতটা? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, একথা সত্যি যে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক দিন বেশ খানিকটা বেড়েছে। কিন্তু এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনই তৈরি হয়নি। কারণ যাঁদের টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নিয়মমাফিক নেওয়া আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে না। যাঁরা এবার কোভিডে বেশ ধরাশায়ী হয়েছেন, তাঁদের অনেকেরই অন্য কোনও জটিল অসুখ ছিল।
তাহলে কি কোভিড আবার ফিরে এসেছে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে? এনকে অরোরার মতে, কোভিড কখনও চলে যায়নি। ফলে ফিরে আসার প্রশ্নই নেই। কোভিড বার বার রূপ বদলেছে। আগামী দিনেও বদলাবে। তখনই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি টিকার চতুর্থ ডোজ নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে?
(আরও পড়ুন: ডাবের জলে মধু মিশিয়ে খেয়েছেন কখনও? কী কী বিরাট উপকার পাবেন, ভাবতেও পারবেন না)
এই প্রশ্নের উত্তরে চিকিৎসক বলেছেন, যাঁদের টিকার তৃতীয় ডোজটি নেওয়ার কথা, তাঁরা যেন নিয়ম মেনে সেটি নিয়ে নেন। তাছাড়া ভারতের অধিকাংশ (প্রায় ৯০ শতাংশ) মানুষই কোভিডে সংক্রমিত হয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে রোগটির প্রতিরোধ শক্তি অর্জন করেছেন। তার পাশাপাশি টিকাও নিয়েছেন। প্রাকৃতিক উপায়ে অর্জিত রোগ প্রতিরোধ শক্তি এবং তার সঙ্গে টিকার যৌথ প্রতিরোধ শক্তি মিলে সবচেয়ে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরি করতে পারে। আর সেটিই দেশের বেশির ভাগ মানুষের আছে। ফলে আলাদা করে এই মুহূর্তে চতুর্থ টিকার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না তিনি।
(আরও পড়ুন: দেখলেই জিভে জল? কিন্তু কাঁচা আম খেলে কী হয় জানেন? পরের বার খাওয়ার আগে জেনে নিন)
এর পরেই উঠে এসেছে আরও দু’টি প্রশ্ন। হালে অনেকেই H3N2-র মতো ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর সঙ্গে কি করোনার কোনও যোগ আছে? দ্বিতীয় কথা হল, এই পরিস্থিতিতে জ্বর হলেই অনেকে অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন। এঠিই বা কতটা যুক্তিসঙ্গত?