বিজেপিকে নির্বাচনে সমর্থন করায় এবার দুই সমর্থকদের বিরুদ্ধে এবার ফতোয়া জারি করল অসমের এক অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দারা।ভোটের দিন ওই দুই বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগও রয়েছে।তবে যতই অভিযোগ থাকুক না কেন, আইনি পথে না গিয়ে ওই দুই বিজেপি সমর্থককে বয়কট করার নিদান দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।শুধু তাই নয়, তাদেরকে কয়েক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।এই ঘটনার পিছনে এআইইউডিএফের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠলেও তাদের পক্ষ থেকে অবশ্য এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।গত ১ এপ্রিল সোনাই বিধানসভা কেন্দ্রের ধোনেহারিতে ভোটের দিন বুথে গুলি চলে।বিজেপি প্রার্থী আমিনুল হক লস্করের সঙ্গে এআইইউডিএফ কর্মী সমর্থকদের বচসা শুরু হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী নিজে গুলি চালিয়েছেন। ওই বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন রাজনমনি লস্কর ও আমিনুল হক চৌধুরী।বুথের মধ্যে গুলি চালনার পর ফের ওই বুথে পুনরায় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়।ফের নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর এলাকার কিছু মানুষ নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসে। ফতোয়া জারি করে যে বিজেপির হয়ে কেউ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু বিজেপি প্রার্থীর ওই দুই নির্বাচনী এজেন্ট অবশ্য সেকথা শোনেননি।তাঁদের মত ছিল, তারা সংবিধান অনুযায়ী কাজ করবেন। তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন। এরপর পুনরায় নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের মধ্যে ফের বৈঠক করে।স্থির হয়,ওই দুই বিজেপি সমর্থককে সামাজিকভাবে বয়কট করা হবে।তাঁদের মসজিদেও প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এমনকি কোনও সবজিওয়ালা, মাছওয়ালারাও তাঁদের বাড়িতে যেতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, রাজনমনিকে ৫ লাখ টাকা ও নজমুল হককে ২ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। একেই রমজান মাস।তার ওপর এবার এই সামাজিক বয়কটের ফলে জীবনধারণ করাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল ওই দুই বিজেপি সমর্থকদের।শেষ পর্যন্ত তারা পুলিশের অভিযোগ দায়ের করেছে। বিজেপিকে নির্বাচনে সমর্থন করায় এবার দুই সমর্থকদের বিরুদ্ধে এবার ফতোয়া জারি করল অসমের এক অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দারা।ভোটের দিন ওই দুই বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগও রয়েছে।তবে যতই অভিযোগ থাকুক না কেন, আইনি পথে না গিয়ে ওই দুই বিজেপি সমর্থককে বয়কট করার নিদান দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।শুধু তাই নয়, তাদেরকে কয়েক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।এই ঘটনার পিছনে এআইইউডিএফের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠলেও তাদের পক্ষ থেকে অবশ্য এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।গত ১ এপ্রিল সোনাই বিধানসভা কেন্দ্রের ধোনেহারিতে ভোটের দিন বুথে গুলি চলে।বিজেপি প্রার্থী আমিনুল হক লস্করের সঙ্গে এআইইউডিএফ কর্মী সমর্থকদের বচসা শুরু হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী নিজে গুলি চালিয়েছেন। ওই বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন রাজনমনি লস্কর ও আমিনুল হক চৌধুরী।বুথের মধ্যে গুলি চালনার পর ফের ওই বুথে পুনরায় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়।ফের নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর এলাকার কিছু মানুষ নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসে। ফতোয়া জারি করে যে বিজেপির হয়ে কেউ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু বিজেপি প্রার্থীর ওই দুই নির্বাচনী এজেন্ট অবশ্য সেকথা শোনেননি।তাঁদের মত ছিল, তারা সংবিধান অনুযায়ী কাজ করবেন। তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন। এরপর পুনরায় নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের মধ্যে ফের বৈঠক করে।স্থির হয়,ওই দুই বিজেপি সমর্থককে সামাজিকভাবে বয়কট করা হবে।তাঁদের মসজিদেও প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এমনকি কোনও সবজিওয়ালা, মাছওয়ালারাও তাঁদের বাড়িতে যেতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, রাজনমনিকে ৫ লাখ টাকা ও নজমুল হককে ২ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। একেই রমজান মাস।তার ওপর এবার এই সামাজিক বয়কটের ফলে জীবনধারণ করাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল ওই দুই বিজেপি সমর্থকদের।শেষ পর্যন্ত তারা পুলিশের অভিযোগ দায়ের করেছে।|#+|সোনাই থানার পুলিশ আকবর আলি জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৯, ৪৪৮, ৩৮৪, ৪২৭ ও ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিজেপি প্রার্থী গোটা ঘটনার নিন্দা করে জানিয়েছেন, এখনকার সময়ে এই ধরনের ফতোয়া কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। নির্বাচনকে অসামাজিক কাজ ঘোষণা করা আসলে সংবিধানকেই অপমান করা। এটা এক ধরনের অপরাধ।তাঁর সঙ্গে ডেপুটি কমিশনার ও পুলিশ সুপারের কথা হয়েছে।এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তবে এই বিষয়ে অবশ্য এআইইউডিএফের প্রার্থী করিমুদ্দিন বারভুইঞা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।