ভরা সংসদে তিনি বলেছিলেন,'এটা ফ্যাশন উঠেছে… আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর। এতবার যদি ভগবানের নাম নিত তবে সাতজন্ম সার্থক হয়ে যেত।' অমিত শাহের এই মন্তব্যের পরই দেশের জাতীয়স্তরে তুলকালাম শুরু হয়। কংগ্রেস থেকে শুরু করে তৃণমূল ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। দাবি ওঠে অমিত শাহের পদত্যাগের।
এই বিতর্কের মাঝে এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে অমিত শাহ মুখ খোলেন আম্বেদকরের প্রতি তাঁর বক্তব্য নিয়ে। সংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে অমিত শাহ বলেন, ‘কংগ্রেস তথ্য দুমড়ে মুচড়ে বিকৃত করে পেশ করছে। এটা নিন্দনীয়।' শাহ বলেন,' কংগ্রেস, আম্বেদকর বিরোধী পার্টি, সংবিধান বিরোধী পার্টি, কংগ্রেস, সাভারকরের অপমান করেছে।’ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যসভায় আমার বয়ানকে দুমড়ে মুচড়ে পেশ করা হয়েছে। কংগ্রেসের চেষ্টা ছিল ভ্রান্তি তৈরি করা। ভোটের সময় আমার বয়ানকে এআই দিয়ে এডিট করে প্রচার করা হয়েছে। মিডিয়াকে মিনতী করছি, আমার পুরো বয়ান জনতার সামনে রাখুন। আমি যে পার্টি থেকে আসছি, সেই পার্টি কখনওই আম্বেদকরকে অপমান করেনি, স্বপ্নেও তা করার কথা ভাবতে পারেনি।’
তাঁর সাংবাদিক সম্মেলনে অমিত শাহ বলেন,'সত্যিটা জনতা পর্যন্ত পৌঁছানো হোক। আমার পুরো বয়ান রাজ্যসভায় রয়েছে। যাঁরা সারাজীবন বাবা সাহেবের বিরোধিতা করেছেন, তাঁরা আজ বাবাসাহেব আম্বেদকরের নামে ভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।' একইসঙ্গে তিনি কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকেও টার্গেট করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে অমিত শাহ বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর চাপে পড়ে’ মল্লিকার্জুন খাড়গে বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের হয়ে কথা বলছেন। পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রসঙ্গ তুলে মল্লিকার্জুন খাড়গের প্রতি বক্তব্য রেখে অমিত শাহ বলেন, ‘এটা দুঃখের।’
অমিত শাহের বক্তব্যে এদিন নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধীর প্রসঙ্গ ওঠে। কংগ্রেসকে তোপ দেগে তিনি বলেন,' নেহরুজি, ইন্দিরাজিরা নিজেদের ভারতরত্ন দিয়েছেন। অথচ কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল না, তখন বিজেপির সমর্থিত সরকার দিয়েছিল বাবা সাহেবকে ভারতরত্ন।'
এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মল্লিকার্জুন খাড়গেরা রাজ্যসভায় অমিত শাহের দেওয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন,'আমাদের দাবি অমিত শাহের ক্ষমা চাওয়া উচিত এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির যদি ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকরের প্রতি আস্থা থাকে, তাহলে তাঁকে মধ্যরাতের মধ্যে বরখাস্ত করা উচিত। তাঁর মন্ত্রিসভায় থাকার কোনো অধিকার নেই। তাকে বরখাস্ত করা উচিত।' এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,' এতেই ওদের বর্ণবিদ্বেষী, দলিত বিরোধী মানসিকতা স্পষ্ট বোঝা যায়। ২৪০ আসন পাওয়ার পরই ওরা এমন আচরণ করছে, ৪০০ আসনের স্বপ্ন সত্যি হয়ে গেলে হয়তো আম্বেদকরের সব অবদান ভুলে নতুন ইতিহাস লিখে দিত।'
(বিস্তারিত আসছে )