চলতি বছরের অগস্ট মাসে মসনদচ্যূত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এই প্রথমবার নয়, বহু বছর আগে তাঁর বাবা মুজিবর রহমান সহ হাসিনার গোটা পরিবারের হত্যাকাণ্ডের পরও তিনি ভারতে বহু দিন ধরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এবার সেই মুজ♑িবর রহমান হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশে হাসিনা বিরোধী গোষ্ঠীর জামায়েত ইসলামির নেতা আমির শফিকুর রহমান।
মুজিবর রহমান হত্যার দিনে শেখ হাসিনার পরিবারের ১৮ সদস্যের পর পর মৃত্যু🐼 হয়। বাদ যাননি হাসিনার তৎকালীন ১০ বছরের ভাইও। সেদিন দেশের বাইরে ছিলেন শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন রেহানা। মুজিবর রহমানের সেই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সদ্য বাংলাদেশের বিজয় দিবসের দিন বাংলাদেশের জামায়েত ইসলামির নেতা আমির বলেন,'স্বাধীনতার সপক্ষের সেনা সদস্যরা তাঁকে হত্যা করেছে। কেন করেছে? কারণ শেখ মুজিব মুক্তিযোদ্ধার চেতনা থেকে বেরিয়ে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এদেশে ভারতের আধিপত্যবাদের যাত্রা শুরু করেছিলেন। তাঁর কন্যাও (শেখ হাসিনা) পরবর্তী সময়ে ভারতের তাঁবে🦋দারি করতে এদেশের আলেম-ওলেমা, ছাত্র, কৃষি, শ্রমিক, সাধারণ জনগণকে হত্যা করেছে।' আমিরের দাবি, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন শুধু তাঁর বাবা শেখ মুজিবর রহমানের হত্যার প্রতিশোধ নিয়ে ভারতের কাছে বাংলাদেশের ভূখণ্ড বন্ধক দিতে।
ঢাকার পল্টন মোড়ে দাঁড়িয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে এক সভামঞ্চ থেকে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন আমির। মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে আমির বলেন,'শেখ মুজিবর রহমান কবে কোথায় স্বাধীনতার ঘোষণা করেন? সেটি এদেশের কারও জানা নেই। ৭ মার্চ যদি শেখ মুজিবর রহমা🀅ন স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়ে থাকেন, তাহলে কেন ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে শেখ মুজিবর রহমান নিজের বাসভবনে পাকিস্তানের পতাকা ঝুলিয়েছিলেন? সেই পতাকা খুলে তৎকালীন ছাত্ররা বাংলাদেশের পতাকা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন।'
জামায়েতের এই নেতা প্রশ্ন তোলেন কেন জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না? আওয়ামি লিগ সম্পর্কে ক্ষোভ উগরে তিনি ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের প্রসঙ্গ তোলেন। সেদিন লগি-বৈঠা দিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তুলে ধরে জামায়েত নেতা বলছেন, বাংলাদেশের ক্ষমতায় যদি জামায়েত আসে, তাহল🦩ে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট পর্যন্ত সব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও ন্যায় বিচার করা হবে। হাসিনার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে জামায়েত𝐆 নেতা আমির নুরুল ইসলাম বলেন,' ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট এদেশে ছাত্র জনতা জীবন ও রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছে। ছাত্র জনতার অর্জিত স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে হাসিনা ভারতে বসে ভারতীয় প্রভুদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করছেন।'