২২ বছর বয়সী কংগ্রেস কর্মী হিমানী নারওয়াল খুনের ঘটনায় সদ্য গ্রেফতার হয়েছে ৩২ বছর বয়সী অভিযুক্ত সচিন। ঘটনার তদন্তে নেমে হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে⛄, এই খুন মোবাইলের চার্জারের তার দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঘটানো হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত সচিন, বিবাহিত। তার একটি মোবাইলের দোকানও রয়েছে।
হরিয়ানার কংগ্রেসকর্মী হিমানীর মৃত্যু ঘিরে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। হরিয়ানার রোহতক রেঞ্জের এডিজিপি কৃষাণ কুমার রাও জানিয়েছেন, ‘ অভিযুক্ত সচিনের একটি মোবাইলের দোকান রꦫয়েছে ঝাঝরে। নিহত মহিলার সঙ্গে অভিযুক্তের আলাপ সোশ্যাল মিডিয়ায়। বহু সময়ই ব্যক্তি ওই মহিলার বাড়ি যেতেন। রোহতক💯ের বিজয়নগরে ওই মহিলা একাই থাকতেন বলে খবর। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত মহিলার বাড়ি গেলে, তাদের দুজনের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে। তখনই মোবাইল চার্জার দিয়ে খুন করা হয় হিমানীকে।’
এখানেই শেষ নয়। হিমানীর গয়না নিয়েও চম্পট দিয়েছিল অভিযুক্ত সচিন। সঙ্গে হিমানীর ফোন, ল্যাপটপ, নিয়েও পালায় সচিন। এরপর হিমানীর দেহ সে একটি সুটকেসে বন্দি করে। এমনই তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলেছে, ‘এরপর সে তার গয়না, ফোন এবং ল্যাপটপ ঝাঝরে তার দোকানে নিয়ে যায়। পরে অভিযুক্ত, মৃতের দেহটি, ঘরে রাখা একটি স্যুটকেসে ভরে সাম্পলা বাস স্ট্যান্ডের কাছে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। আমরা অভিযুক্তদের রিমান্ড নেব এবং রিমান্ডের সময় জানা যাবে কেন তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল... তাদের মধ্যে আর্থিক লেনদেনও হয়েছিল কি না, আমরা তাও যাচাই করব। তদন্তের সময় সবকিছু যাচাই করা হবে।’ এদিকে, অভিযুক্তের হাতে কামড়ের দাগ খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। এছাড়াও হাতে রয়েছে আঁচড়ও। এই তথ্য জানিয়েছে সংবা সংস্থা এএনআই। তবে প্রাথমিক অনুমান, টাকা নিয়ে কোনও বিবাদের জেরেই এই খুন। তবে সেই কারণ ঘিরে কোনও শিলমোহর পড়েনি। তা নিশ্চিত হওয়া বাকি। এদিকে, হিমানীর মায়ের দাবি, পার্টিতে হিমানীর উত্থানের জেরেই অনেকে 🌳তাঁর শত্রু হয়। হিমানী বহুদিন ধরেই হুমকি পাচ্ছিলেন বলে দাবি করেন তাঁর মা।