মানুষে কতই না প্রতিজ্ঞা নেয়। সন্তান নেয় মা-বাবার জন্য। আবার মা-বাবা নেয় নিজের সন্তানের জন্য। এমনকি প্রেমিক-প্রেমিকাও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন একে-অপরের জন্য। এছাড়াও কতই না প্রতিজ্ঞা আমার প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত নিয়েই থাকি। তবে এরমধ্যে কিছু কিছু প্রতিজ্ঞা নজর কাড়ে। তেমনই এক অদ্ভুত কথা ๊আমাদের সামনে এসেছে। তিনি বিলাস ভাবসার। উত্তর মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের বাসিন্🔯দা।
৬০ বছর বয়সী বিলাস ভাবসার ১৯৯২ সালে শপথ নিয়েছিলেন যে অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি না হওয়া পর্যন্ত তিনি পাদুকা পরবেন না। শুধু পাদুকাতে ক্ষান্ত হননি তিনি। খড়ম, চপ্পল সবই করেছিলেন ত্যাগ। সোমবার অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালা মূর্তিতে পꦛ্রাণ প্রতিষ্ঠার পর ভাবসারের প্রতিজ্ঞায় আসে ছেদ। সুদীর্ঘ ৩২ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সোমবার বিল༒াস প্রথমবারের মতো পাদুকা পায়ে দিয়েছিলেন।
এই ঘটনা চাউর হতেই মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা গিরিশ মহাজন সেদিন জলগাঁও জেলার জামনারে একটি অনুষ্ঠানে ভাবসারকে একজোড়া পাদুকা উপহার দিয়ে তা🐭ঁর প্রতিক্ষার অবসান ঘটান। এবং ভাবসার সেই পাদুকা পরেওছিলেন।
জলগাঁওয়ে একটি পানের দোকান চালান ভাবসার জানান, তিনি খুশি তাঁর শপথ পূরণ হয়েছে এবং প্রতিট꧅ি রামভক্তের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে, আমি অযোধ্যায় ওই একই জায়গায় একটি বিশাল রাম মন্দির তৈরি না হওয়া পর্যন্ত পাদুকা এবং চপ্পল না পরার প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম।’
উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যা রাম মন্দিরে শ্রী রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ১৬ জানুয়ারি থেকে অযোধ্যায় শ্রী রামলালার জীবনের পবিত্রতা সম্পর্কিত আচার-অনুষ্ঠান চলছিল। ফুল দিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল রাম মন্দিরের গর্ভগৃহ৷ বাইরের চত্বরেও ছিল ফুলের সজ্জা৷ মন্দিরের স্তম্ভ, ছাদ ও দেয়ালে ফুল দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। ১৯ꦕ জানুয়ারি, বিশ্বের বৃহত্তম প্রদীপগুলিও অযোধ্যায় জ্বালানো হয়েছিল। যার ব্যাস ছিল প্রায় ৩০০ ফুট। এটি ১০০৮ টন মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়। এই প্রদীপ একটানা জ্বালাতে প্রায় ২১ হাজার লিটার তেল ব্যবহার করা হয়।