উত্তরাখণ্ডের উইন্টার ট্যুরিজমের (শীতকালীন পর্যটন) প্রচার করে পুণ্য অর্জন করতে পারলেন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটররা। এমনই পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ডে গিয়ে মুখবায় মা গঙ্গার শীতকালীন নিবাসে পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর এক জনসভায় ভাষণ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দশক উত্তরাখণ্ডের। উত্তরাখণ্ডকে শীতকালীন পর্যটন কেন্দ্রের স্বীকৃতি দিতে দেশবাসীকে ভূমিকার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, কনটেন্ট ক্র🌠িয়েটররা উত্তরাখণ্ডের উইন্টার ট্যুরিজমের প্রচার করে পুণ্য অর্জন করতে পারেন। একইসঙ্গে ভালো চলচ্চিত্রের প্রতিযোগিতা আয়োজনেরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন - Rahul Gandhi: মানহানির মামলায় গরহাজির༒ ‘অভিযুক্ত’ রাহুল, ২০০ টাকা জরিমানা ꦚকরল আদালত
প্রধানমন্ত্রী বলꦦেন, 'শীতের মরশুমে জঙ্গল সাফারি উত্তরাখণ্ডের বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে। অর্থাৎ ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাপ্রোচ নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। রাজ্যের সুযোগ-সুবিধার উন্নয়নের পাশাপাশি জনগণকে তথ্য সরবরাহ করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য আমি দেশের তরুণ কনটেন্ট ক্রিয়েটর, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের কাছে অনুরোধ করছি যে তাঁরা বসে থেকেও আমার উত্তরাখণ্ড, দেবভূমির সেবা করতে পারেন। তাঁরাও জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। দেশের পর্যটন খাতের গতি বাড়াতে এবং মানুষের কাছে তথ্য পৌঁছে দিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন তাঁরা।
প্রধানমন্ত্রী কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আরও বলেন, ‘আপনারা যে ভূমিকা পালন করেছেন, তা আরও প্রসারিত করা প্রয়োজন। উত্তরাখণ্ডের উইন্টার ট্যুরিজমের এই অভিযানে আপনাদেরও অংশ নেওয়া উচিত। আ🐓মি চাই উত্তরাখণ্ড সরকার একটি বড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করুক। কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ইনফ্লুয়েন্সারদের উচিত উত্তরাখণ্ডকে নিয়ে পাঁচ মিনিটের একটি শর্ট ফিল্ম তৈরি করা। যে সেরা করবে শর্ট ফিল্ম তৈরি করবে, তাঁকে পুরস্কার দেওয়া হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যখন এ ধরনের প্রতিযোগিতা হবে, আমরা নতুন-নতুন জায়গা খুঁজে পাব, নতুন সিনেমা তৈরি করব। আমি আশাবাদী যে, আগামী বছরগুলিতে পর্যটন ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নয়ন প্র𝔍ত্যক্ষ করবে সকলে।’
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, 'এই দশকে উত্তরাখণ্ডে পর্যটকের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ সালের আগে প্রতি বছর গড়ে ১৮ লক্ষ তীর্থযাত্রী চারধাম যাত্রায় যেতেন। এখন প্রতি বছর প্রায় ৫০ লক্ষ তীর্থযꦛাত্রী আসতে শুরু করেছেন।' মোদী বলেছেন, 'এই বছরের বাজেটে ৫০টি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। এই গন্তব্যস্থলগুলির হোটেলগুলিকে পরিকাঠামোর গুরুত্ব দেওয়া হবে। এর ফলে পর্যটকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে এবং স্থানীয় কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে।'
তাঁর কথায়, 'আমাদের প্রচেဣষ্টা হল, উত্তরাখণ্ডের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিও যেন পর্যটনের বিশেষ সুবিধা পায়। আগে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকে বলা হত শেষ গ্রাম। কিন্তু আমরা সেই চিন্তাভাবনা বদলে দিয়েছি, আমরা বলেছি এটি আমাদের শেষ গ্রাম নয়, আমাদের প্রথম গ্রাম। সীমান্তবর্তী গ্রামের উন্নয়নের জন্য ভাইব্র্যান্ট ভিলেজ কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে।'