কোবরা সাপ দিয়ে দংশন করানোর ভয় দেখিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠ🌞ল রাজস্থানের কোটায়। এই অভিযোগ পুলিশ অভিযুক্ত তান্ত্রিককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম ইরমান। সে জেলার রেলওয়ে কলোনির বাসিন্দা। তাকে গ্রেফতারের পরেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। কালাজাদুর নামে লোক ঠকানো এবং জাল নোটের কারবারেও যুক্ত ধৃত।
আরও পড়ুন: পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাত ভারতের! ইমরান-বিলাওয়ালের এক্স হ্যান্ডেল 'ꦺব্লক' ভারতে
এলাকার পুলিশ সুপার অমৃতা দুহান জানান, ♊গত ১৮ মে একজন ব্যক্তি রেলওয়ে কলোনি থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁর ভাগ্নির অশ্লীল ভিডিয়ো তৈরির পর তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইমরানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসপি জানান, অভিযুক্ত অবৈধভাবে তার কাছে একটি কিং কোবরা সাপ রেখেছিল। অভিযুক্ত ছোটখাটো রোগ নিরাময়ের জন্য কালা জাদু করত। এর মাধ্যমে সে রোগ নিরাময়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিত। আর এভাবেই মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করত। এভাবে বহু মানুষ তার কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে, জাল নোটের কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছ🧸িল ইমরান। তার কাছ থেকে ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছড়াও, বেআইনিভাবে কোবরা সাপ বাড়িতে রাখায় সাপটিকেও উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে সেটি বন বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আরও অভিযোগ, নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির ভিডি🦩য়ো রেকর্ড করেছিল তার স্ত্রী। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল করিয়ে দেওয়ার এবং কাউকে জানালেই কোবরা দিয়ে দংশন করানোর ভয় দেখায় অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির বাসিন্দা। নিজেকে তান্ত্রিক বোঝাতে ইমরান শুধু কোবরাই নয়,একটি পেঁচাও 🐽সঙ্গে রেখেছিল বলে অভিযোগ।
পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ইমরান জাল নোট সরবরাহ ও বিক্রি করত। আর তার সঙ্গে নকল ধাতু দিয়ে তৈরি মূর্তি সোনা বলে চালিয়ে বিক্রি করে মানুষকে প্রতারণা করত সে। নির্যাতিতার পরিবারের কাছ থেকেও কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ইমরানের বিরুদ্ধে। এর সঙ্গে আরও কোনও চক্র জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। কতজনের সঙ্গে সে প্রতারণা কর🌄েছে? কোথা থেকে জাল নোট নিয়ে আসত? সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।