'পাকিস্তান কতগুলি রাফাল জেট ধ্বংস করেছে? কেন এই বিষয়ে কেউ কথা বলছে না?'তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির এমনই প্রশ্ন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সাহস, রণনীতি এবং পারদর্শিতার অভাব ছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন রেবন্ত রেড্ডি। এরপরেই কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানের চিনা অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে কী ভাবছে ভারত? স্পষ্ট ভাষায় জবাব দিলেন শশী)
আরও পড়ুন: স্টুডেন্ট ভিসা স্থগিত থাকা নিয়ে বড় ইঙ্গিত, কী বলল US স্টেট ডিপার্টমেন্ট?
হায়দরাবাদে জয় হিন্দ যাত্রার শুরুতে একটি জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'দুই দেশের সংঘর্ষকে রাজনৈতিক দিক থেকে দেখছে বিজেপি। সংঘর্ষের পরিণতি কী হল, তা নিয়ে চুপ মোদী সরকার। চার দিনের যুদ্ধের পর কী হল? কে আত্মসমর্পণ করল? আমরা কিছুই জানি না।' যুদ্ধের সমাপ্তির ঘোষণা ভারতের বদলে কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রেবন্ত রেড্ডি। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হলে এতদিনে পিওকে ভারত ফিরিয়ে আনতে পারত। রেবন্ত রেড্ডি বলেন, 'এই (সেকেন্দ্রাবাদ) সেনানিবাসের জওয়ানরা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। তেলাঙ্গানায় তৈরি যুদ্ধ বিমানগুলি আমাদের দেশের প্রতি সম্মান বজায় রেখেছিল। নরেন্দ্র মোদীর আনা রাফায়েল বিমান পাকিস্তান গুলি করে নামায়। কতগুলি রাফায়েল বিধ্বস্ত হয়েছিল তা নিয়ে কোনও আলোচনা নেই। সাম্প্রতিক যুদ্ধে পাকিস্তান কত রাফায়েল বিমান বিধ্বস্ত করেছে তার উত্তর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া উচিত। আপনি আমাদের হিসাব দিন।' (আরও পড়ুন: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি SSC-র, কবে থেকে করা যাবে আবেদন? পরীক্ষা কবে নাগাদ?)
আরও পড়ুন-'চুক্তির সময়ই জানি যে সময়মতো পাব না', প্রতিরক্ষা প্রকল্প নিয়ে বিস্ফোরক বায়ুসেনা প্রধান
তবে ভারতীয় বায়ুসেনা আনুষ্ঠানিকভাবে সংঘর্ষে রাফালের কোনও ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।পাশাপাশি ইন্দিরা গান্ধীর শাসনকালের সঙ্গে তুলনা টেনে রেবন্ত রেড্ডি বলেন, 'যুদ্ধ মানে শুধু ভাষণ দেওয়া নয়। সাহস, সংকল্প এবং রণনীতির পরিচয়।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন পাকিস্তানের সমর্থন করেছিল, তখন ইন্দিরা গান্ধী নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন এবং ভারত ১৯৭১-এর যুদ্ধে জিতে গিয়েছিল। কেবলমাত্র জয় ছিনিয়ে আনাই নয়, পাকিস্তান ভাগ হয়ে বাংলাদেশেরও জন্ম হয় সে সময়ে। আজ চিন আমাদের ৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার জায়গায় কব্জা করে নিয়েছে। কর্নেল সুরেশ বাবুকে হত্যা করেছে। অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রী চুপ করে রয়েছেন।' (আরও পড়ুন: এটাই আসল পাকিস্তান! মন্ত্রী জড়িয়ে ধরলেন পহেলগাঁও চক্রী সহ একাধিক জঙ্গি নেতাকে)
অন্যদিকে, তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপি তেলাঙ্গানা ইউনিটের অফিসিয়াল হ্যান্ডেল থেকে বলা হয়েছে, 'মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি কেবল রাফায়েল এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে পাকিস্তানের বক্তব্যই প্রতিধ্বনিত করেননি - তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে আমাদের পাকিস্তান বলে অভিহিত করেছেন। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং বালাকোট নিয়ে প্রশ্ন তোলা থেকে শুরু করে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে উপহাস করা এবং অগ্নিপথের বিরোধিতা করা - কংগ্রেসের ডিএনএতে এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। জাতীয় নিরাপত্তা আপনার জন্য নয়। যখন দেশ জয়ী হয়, তখন কংগ্রেস হতাশ হয়।'
আরও পড়ুন: আয়কর অফিসে দক্ষযজ্ঞ, ডেপুটি কমিশনারকে মেরে মুখ ফাটালেন যুগ্ম কমিশনার!
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি বলেন, 'তাদের নেতা রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি পর্যন্ত, কংগ্রেস আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনীকে দিনের পর দিন অসম্মান করছে। এই প্রথমবার নয় যে তারা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, এই প্রথমবার নয় যে তারা শত্রুর ভাষায় কথা বলছে।' এদিকে বিজেপি নেতা বান্দি সঞ্জয় কুমার বলেছেন, 'ইন্দিরা গান্ধীর পর কংগ্রেস কয়েক দশক ধরে ভারত শাসন করেছে - রাজীব গান্ধী থেকে পিভি নরসিমা রাও, মনমোহন সিং পর্যন্ত। তবুও তারা পাক অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধার বা সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য কিছুই করেনি। কেবল বক্তৃতা। কেবল দোষারোপের খেলা।' তিনি আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদী পাকিস্তান বা চিন সমস্যা তৈরি করেননি। তিনি ছয় দশক ধরে কংগ্রেসের ব্যর্থতার উত্তরাধিকারী সূত্রে পেয়েছেন। কিন্তু তিনিই প্রথম যিনি দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।'