জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ বাড়ছে। ইতিমধ্যে নয়াদিল্লি কূটনৈতিক স্ট্রাইক ঘোষণা করেছে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে। এই আবহে শত্রুর ড্রোন, হেলিকপ্টার, বিমান ধ্বংস করতে নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার বরাত দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। নেক্সট জেনারেশনের এই ডিফেন্স সিস্টেম অত্যন্ত হালকা ওজনের এবং এটি কাঁধে নিয়ে চালাতে পারবেন সেনা জওয়ানরা। আর এরপরেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশনের জন্য তৈরি হচ্ছে ভারত? (আরও পড়ুন: ইসলামের নামে নর্থইস্ট দখলের 'শখ' প্রাক্তন বাংলাদেশি সেনাকর্তার, পেলেন যোগ্য জবাব)
আরও পড়ুন-কোনও ব্র্যান্ড নয়! জেনেরিক ওষুধ লিখতে হবে চিকিৎসকদের, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জন্য একটি টেন্ডার জারি করেছে। টেন্ডার পূরণের শেষ তারিখ ২০ মে ২০২৫ রাখা হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ওই টেন্ডারের আওতায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ৪৮টি লঞ্চার, ৪৮টি নাইট ভিশন ডিভাইস, ৮৫টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র কিনবে। বিশেষ বিষয় হল, এই ক্রয় সম্পূর্ণরূপে 'মেক ইন ইন্ডিয়া'-এর আওতায় করা হচ্ছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা খুব কম দূরত্বে শত্রুপক্ষের বিমান বা ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম হবে। এর সাহায্যে খুব সহজেই যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং ড্রোন ধ্বংস করা সম্ভব। (আরও পড়ুন: 'যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা দেখিয়ে...', মানবিক করিডোরের নামে ইউনুসের ছক 'ফাঁস')
আরও পড়ুন: লাইভ ফায়ারিং শুরু নৌসেনার, শনিতেই মোদীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বাহিনীর প্রধান
সেনা সূত্রে খবর, ভারতের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থাকলেও হালকা ওজনের ও কাঁধে নিয়ে হামলা চালানোর মতো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। সেই অভাব পূরণ করতেই এই পদক্ষেপ।প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের টেন্ডারে বলা হয়েছে, আকাশপথে হুমকির মধ্যে টার্মিনাল এবং পয়েন্ট প্রতিরক্ষার জন্য এই সিস্টেমগুলি প্রয়োজনীয়। এগুলি কেবল সেনাবাহিনী নয়, নৌবাহিনী ও বায়ুসেনাও স্থল ও সমুদ্র প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করবে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ইনফ্রা-রেড হোমিং প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ক্রমবর্ধমান বিমান হামলার হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর প্রয়োজন। সকল ধরণের বিমান হুমকির বিরুদ্ধে টার্মিনাল এবং পয়েন্ট প্রতিরক্ষার জন্য এই ধরনের ম্যান-পোর্টেবল সিস্টেমের বড় ঘাটতি রয়েছে।’ (আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে সাধু সাজার চেষ্টা, দুর্বল চিত্রনাট্যের ড্রামা পাকিস্তানের)
খুনের আসামিকে কুপিয়ে হত্যা! হাই-অ্যালার্ট জারি মেঙ্গালুরুতে, জারি হল ১৪৪ ধারা
সেনাবাহিনীর বায়ু প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও জোরদার করা হবে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ডেমো দেখানোর জন্য কোম্পানিগুলি দায়ী থাকবে এবং এটি কোনও খরচ ছাড়াই করা হবে। সেনাবাহিনীর বায়ু প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করতে এই ব্যবস্থা ব্যবহার করা হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলছে যে সম্পূর্ণ টেন্ডার প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করা হবে এবং কেবলমাত্র সেইসব কোম্পানি নির্বাচন করা হবে যারা প্রযুক্তিগত এবং বাণিজ্যিক উভয় স্তরেই সমস্ত মান পূরণ করবে। ভারতের নিরাপত্তা প্রস্তুতি আরও জোরদার করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপকে একটি বড় সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।