এর আগে তাঁর ইলিশ নিয়ে মন্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছিল। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবার চর্চায় তাঁর ভ্যালেন্টানস ডে নিয়ে করা মন্তব্যের জেরে। ১১ ফেব্রুয়ারি ফরিদা ফেসবুকে একটি পোস্ট করে লিখেছিন, 'জুলাই-অগস্ট শহিদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এ বছর যেন কোনো ভ্যালেন্টাইন দিবসের তামাশা না হয়।' আর তাঁর এই পোস্ট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় ঝড়। অনেকেই তাঁর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন। অনেকে দাবি করেন, তাঁর এই মন্তব্যের জেরে জামাতি 'মব' রাস্তায় নেমে তরুণ-তরুণীদের হেনস্থা করার লাইসেন্স পেয়ে যাবে। (আরও পড়ুন: বাংলায় ডিএ বাড়ে ‘মাঝে মাঝে’, তไাতে সরকারের 'সাশ্রয়' ২.১৯ লাখ কোটি টাকা!)
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের মাথায় পড়বে হাত? গুরুত্বপূর্ণ বꦐৈঠকের পর এল বড় খব🐻র
এদিকে বিতর্কের আবহে নিজের ফোসবুক পোস্টে কমেন্ট করার অপশন বন্ধ করে দিয়েছিলেন ফরিদা। এই নিয়ে পরবর্তীতে বাংলাদেশি সংবাদপত্র প্রথম আলোকে তিনি বলেন, সরকারি কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি ভ্যালেন্টাইনস ডে-র ওপরে। তবে তাঁর কথায়, 'শহিদ পরিবারের সদস্য হিসেবে আমি যা মনে করেছি, তা নিয়ে আবেদন জানিয়েছি। আর আমি মনে করি, এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়। আমরা ফাল্গুন পালন করব, ২১শে ফেব্রুয়ারি পালন করব। কিন্তু এ বছরে যেহেতু আমরা বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, এবং সেই পরিস্থিতি আনন্দের নয়, তাই শহিদ এবং আহতদের কথা আমরা ভুলতে পারি না।' (আরও পড়ুন: HAL-এর ওপর ঠিক ভরসা করতে পারছ𓃲ি না, তেজস হাতে পাওয়া নিয়ে মন﷽্তব্য IAF প্রধানের)
এদিকে বাংলাদেশে বর্তমানে চলছে অপারেশন ডেভিল হান্ট। ঢাকার ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জড়িত বাসভবনটির অস্তিত্ব আর নেই। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে সেটিকে ভাঙা শুরু করেছিল একদল তথাকথিত বি🌼প্লবী ছাত্র। এরপরে গোটা দেশ জুড়েই ছড়িয়ে পড়েছিল হিংসার আগুন। সেই আগুন নেভাতে এবং ছাত্রদের শান্ত করতে বার্তা দিয়েছিলেন খোদ ইউনুস। তাতেও কাজ দেয়নি। তবে গাজিপুরে প্রাক্তন মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলার সময় পালটা মার খেয়েছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা। আর এরপরই ইউনুস সরকারের ওপর চাপ আসতে শুরু করে। তাণ্ডব চালানো দুষ্কৃতীদের না ধরে আওয়ামি লিগের নেতা, কর্মীদের ধরতে অভিযান শুরু করা হয়। সেই অভিযানে প্রথম দিনেই হাজারের বেশি লোককে ধরেছিল যৌথ বাহিনী। আর ৪ দিনে এই অভিযানে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,২৫৮।