অবশেষে মুখে হাসি ফুটল মুরলি কার্তিকের মুখে। মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব, খেলার আইন-প্রণয়নকারী সংস্থা যখন মানকাডিংকে বৈধ রান আউটের নিয়মে পরিবর্তন করেছিল, তখন খুশি হয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন স্পিনার মুরলি কার্তিক। ব্যাটসম্যানের বোলিং এন্ডে ক্রিজ ছাড়ার পর রান আউটের জন্য বহুবার সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মুরলি কার্তিক। কিন্তু প্রথম থেকেই মানকাডিংকে নিয়ে সকল সমালোচনার জবাব দিতেন কার্তিক। শেষ পর্যন্ত MCC ও তার যুক্তিকেই মানল। প্রথম-শ্রে๊ণির ক্রিকেটে ৬৪৪টি উইকেট সহ তার সময়ের শীর্ষ বাঁ-হাতি স্পিনারদের একজন হলেন কার্তিক। ভারতের হয়ে আটটি টেস্ট এবং ৩৭টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তিনি যখন খেলতেন, তখন বিভিন্ন ফর্ম্যাটে বোলিং এন্ডে পাঁচজন ব্যাটসম্যানকে ‘মানকাডিং’ রান আউট করেছিলেন।
বুধবার, এমসিসি নিয়ম সংশোধন করে বলে যে ‘বোলিং এন্ডে দাঁড়ানো ব্যাটসম্যানকে রান আউট করার নিয়ম ৪১ (অন্যায় খেলা) থেকে সরিয়ে নিয়ম ৩৮ (রান আউট) আনা হল। নিয়মের শব্দচয়ন বদলাবে না।’ কার্তিক ছাড়াও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো বোলাররা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এমনটা করার কথা বলে এসেছিলেন। কার্তিক পিটিআই-কেܫ বলেন, ‘খেলাধুলার একটা ভাবনা আছে কিন্তু আমি সবসময় বলেছি এটা খেলাধুলার ভাবনা নয়। প্রকৃতপক্ষে, যারা এটি লঙ্ঘন করেছিলেন তারাই এই নিয়মের পিছনে লুকোচ্ছিলেন। এটা অনেকটা উল্টো চোর কোতোয়ালকে বকার মতো বিষয়।’
তিনি সঠিক প্রমাণিত হয়েছে অনুভব করে, কার্তিক বলেছিলেন, ‘আমি বলব যেটা আমি যেটা ঠিক মনে করেছি সেটাই সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। এটা করার জন্য বোলারদের অপরাধী প্রমাণ করাটা বন্ধ হওয়ার সময় এসেছে। ব্যাটসম্যানই অযথা সুবিধা নিচ্ছিল এবং♏ আপনি বোলারকে দোষারোপ করছিলেন এবং তাকে ভুল বলছিলেন। এটাই ছিল আমার লড়াই। আমি সবসময় লোকদের বলতাম যে অনুমোদন পেলে আমি ১১ জন খেলোয়াড়কে রান আউট করব।’ কার্তিক আরও বলেন, ‘আমি পাঁচবার এটা করেছি। আমি কখনই সমর্থনের অভাব অনুভব করিনি, কারণ আমি সর্বদা বিশ্বাস করতাম যে এটি যদি সত্য হয় এবং অন্য কেউ এটি বিশ্বাস না করে তবে এর অর্থ এই নয় যে এটি সঠিক নয়। এটা একটꦰা সাধারণ ব্যাপার।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।