৫ জুন, বৃহস্পতিবার, জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে গঙ্গা দশেরা পালিত হবে। এই দিনে হস্ত নক্ষত্র সিদ্ধি যোগ তৈরি হচ্ছে। এর সঙ্গে সঙ্গে ব্যতিপাত যোগও তৈরি হচ্ছে। এই দিনে গঙ্গা হস্ত নক্ষত্রে অবতীর্ণ হন। এই দিনে গঙ্গা নদীতে স্নান, দান এবং উপবাসের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এর ফলে মানুষের কষ্ট লাঘব হয়। জ্যোতিষী পণ্ডিত নরেন্দ্র উপাধ্যায়ের মতে, এই দিনে গঙ্গায় স্নান এবং দান করলে অভ্রান্ত ফল পাওয়া যায় এবং সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি ঘরের দোষ দূর হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে মা গঙ্গা পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ৫ জুন গঙ্গা দশেরা, এই বিশেষ দিনে কী কী দান করলে খোলে বন্ধ ভাগ্যের রাস্তা
রাজা ভগীরথের তপস্যার ফলস্বরূপ মা গঙ্গার পৃথিবীতে অবতরণ করেন। তাঁর পূর্বপুরুষদের মুক্তির জন্য, রাজা ভগীরথ গঙ্গাকে পৃথিবীতে আনার উদ্দেশ্যে জপ ও তপ করেছিলেন। এতে সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান ব্রহ্মা তাঁর কমণ্ডল থেকে গঙ্গার ধারা ছেড়ে দেন। এরপর ভগবান শঙ্কর তাঁর জটায় গঙ্গার ধারাকে ধারণ করেন। তার পর, জটা থেকে গঙ্গাকে বের হয়ে জ্যেষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে পৃথিবীতে অবতরণ করেন।
আরও পড়ুন: চলতি সপ্তাহে শনিবার রয়েছে রাজযোগ! দৈত্যগুরু, মঙ্গল মিলে কপাল খুলে দেবেন কাদের?
গঙ্গা দশেরা পূজা পদ্ধতি:
গঙ্গা দশেরার দিন সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
সম্ভব হলে গঙ্গা নদীতে স্নান করে অথবা স্নানের জলে গঙ্গা জল মিশিয়ে স্নান করতে হবে।
স্নানের পর পরিষ্কার পোশাক পরতে হবে।
একটা পিতলের পাত্রে জল ভরে সূর্যদেবকে জল অর্পণ করতে হবে।
যদি চান, গঙ্গা দশেরার দিনও উপবাসও রাখতে পারেন।
রীতি অনুসারে শিব, গৌরী এবং মা গঙ্গার পুজো করতে হয়।
আরও পড়ুন: নির্জলা একাদশীতে শ্রী বিষ্ণুকে এই ভোগ নিবেদনে দুর্ভাগ্য কাটে, খোলে উন্নতির পথ
ভগবান শিব, মা দুর্গা এবং মা গঙ্গা সহ সকল দেব-দেবীর আরতি করতে হবে।
পুজো শেষ হওয়ার পর, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করতে হবে।
পুজোর সামগ্রীর তালিকা এইগুলো রাখতেই হবে। গঙ্গাজল, পান, আম পাতা, চাল, কুমকুম, দূর্বা, কুশ, সুপারি, ফল, ফুল, নারকেল, শস্য, সুতো, কলস সহ পুজোর জন্য সমস্ত পুজো সামগ্রী সংগ্রহ করতে হবে।