আর কিছু দিন পরই মাঠ থেকে আলু তোলার সময়। কিন্তু তার আগেই নেমে এল বিপুল ক্ষতির বাতাবরণ। নতুন আলুর তোলার আগেই অকাল বৃষ্টি নেমে এল চাষের জমিতে। তার সঙ্গে যোগ হয় ডিভিসির ছাড়া জল। এই জোড়া আঘাতের জেরে চাষের জমি জলের তলায় চলে যাওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতি হল চাষবাসের। এমন পরিস্থিতি দেখে মাথায় হাত পড়ে যায় আলু কৃষকদের। তাঁরা হাপিত্যেশ করতে থাকেন। কারণ প্রায় ১০০ বিঘা জমির আলু নষ্ট হতে বসেছে। আর সেটা হলে বিপুল অর্থ এবং পরিশ্রমের ক্ষতি হয়ে যাবে।
এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের উত্তর নিত্যানন্দপুর গ্রামে। অকাল বর্ষণ সমস্ত চাষবাস এবং পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে কৃষকদের। অকাল বর্ষণ চাষের জমির ফসল অনেকটা নষ্ট করে দিয়েছে। যেটুকু পড়ে ছিল সেসব ডিভিসি’র ছাড়া জলে নষ্ট হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের। আর তার জেরে উত্তর নিত্যানন্দপুর গ্রামের কৃষকদের চোখের জল ফেলতে দেখা গিয়েছে। এই ঘটনার কথা পৌঁছে যায় প্রশাসনের কানেও। তখন ঘটনাস্থলে হাজির হন ব্লকের কৃষি দফতর এবং প্রশাসনের অফিসাররা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের চিন্তা করতে বারণ করেন। আর ফসল বিমায় আলু চাষের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এমনকী সুফল বাংলার মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত আলু সহায়ক মূল্যে কিনে নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রশাসনের কর্তারা। আর তাতেই হাসি ফুটল ওই গ্রামের কয়েকশো পরিবারের মুখে।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস পার্টিতে তাঁর ভূমিকা নির্দিষ্ট করা হোক, রাহুল গান্ধীকে বললেন ক্ষুব্ধ শশী থারুর