ডেঙ্গি নিয়ে গোটা রাজ্য ভীত সন্ত্রস্ত। সেই ভয় জাঁকিয়ে ধরেছে সিবিআইকেও। এই আবহে বিধানসভা পুরনিগমকে চিঠি দিল সিবিআইয়ের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সিজিও কমপ্লেক্সে এসে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে পুর-চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তকে চিঠি দেওয়া হয়। সেই মতো সিজিও কমপ্লেক্সে বাহিনী পাঠিয়ে দেন পুর-চেয়ারম্যান। রাজ্যে প্রায় প্রতিদিনই ১০০০ জন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন। সল্টলেকেও অনেকেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। এই আবহে ডেঙ্গি হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। এই আবহে চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তের কাছে চিঠি লিখে নানো হয়েছে, সিজিও কমপ্লেক্সে বড্ড মশা বেড়েছে।মশা বৃদ্ধি নিয়ে চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন সব্যসাচী দত্ত। তিনি সংবাদমাধ্যমকে এই নিয়ে বলেছেন, ‘সিবিআই স্পেশাল ক্রাইম আমার কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল। আমি কাজ করিয়ে দিয়েছি। আমি চিঠিটা পেয়েছিলাম ৯ তারিখ। আজ (১২ নভেম্বর) কাজ শেষ হয়েছে। তারাও জানিয়ে দিয়েছে যে কাজ হয়ে গিয়েছে।’ জানা গিয়েছে, গত ৭ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের অফিসের তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল বিধাননগর পুরনিগমে। সিবিআইয়ের তরফে দাবি জানানো হয়েছিল যাতে মসকুইটো রেপেল্যান্ট বা ফগ মেশিন দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। এদিকে পুরনিগমের চেয়ারম্যান জানান, সিবিআইয়ের তরফে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই চিঠি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘তাঁদের (সিবিআই অফিসার) মধ্যে কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন বলে শুনিনি। আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই এই কাজ করা হয়েছে। এই সময় এমনিতেই ডেঙ্গি বেশি হয়। আমার কাছে এমন কোনও বিজ্ঞান নেই যার সাহায্যে আমি ডেঙ্গিকে পুরোপুরি নির্মূল করে দিতে পারব। তবে শীত পড়লে ধীরে ধীরে মশা কমবে। ফলে তখন ডেঙ্গির প্রকোপও কমে যাবে।’