আজ, সোমবার উত্তরবঙ্গে বাণিজ্য সম্মেলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যেই উদ্বোধন করলেন জল্পেশ মন্দিরের স্কাইওয়াকের। চারটি শিল্প পার্কেরও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার মধ্যেই বড় ঘোষণা করে দেন শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়া। বিপুল বিনিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেন। তারপরই শিলিগুড়িতে একটি কনভেনশন সেন্টার করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়িতে উত্তরায়নের বিপরীতে তা হতে পারে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করার কথা জানান হর্ষ নেওটিয়া।
এদিকে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের বিপুল পরিমাণ সাফল্যের পর এবার উত্তরবঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে নানা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সোমবার উত্তরবঙ্গের নানা শিল্পপতিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন তিনি। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ছাড়াও পর্যটন, ফুড প্রসেসিং, চা–শিল্পের উপর বিশেষ করে নজর দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আজ উপস্থিত হয়ে বিশিষ্ট শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়া বড় ঘোষণা করেন। আর মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোচবিহারে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করতে হবে। উত্তরবঙ্গে এত কোটি টাকার বিনিয়োগ করার কথা দেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন: স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা, বেনাপোলে আটকে ৩৬টি ট্রাক
অন্যদিকে শিল্প নিয়ে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে সামনে রেখে কয়েকজন শিল্পপতিকে নিয়ে একটি কোর কমিটি করার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আজ হর্ষ নেওটিয়া বিনিয়োগ নিয়ে বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর উত্তরবঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। উত্তরায়ণ আমার প্রথম প্রজেক্ট, পঙ্কজ চট্টোপাধ্যায় সেই সুযোগ দিয়েছিলেন। আজ রুদ্র এখানে আছে। সেই প্রকল্পে হাসপাতাল করেছি। মকাইবাড়ি চা–বাগানে হোটেল করার সুযোগ হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি শেষ ২০ বছরে অনেক সুযোগ দেখেছি এবং সেটা ক্রমশ বাড়ছে।’
তাছাড়া শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে এই শিল্প সম্মেলনে সকল শিল্পপতিদের কথা শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। ছোট–মাঝারি শিল্পের উপর জোর দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি জানান, ৬টি ভলভো বাস রাজ্য সরকার করে দিয়েছে যাতে সরাসরি দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে মানুষজন উত্তরবঙ্গ থেকে যেতে পারেন। এখানেই শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়ার বক্তব্য, ‘প্রথমে যখন এসেছিলাম একদিন অন্তর একটা করে বিমান চলত। এখন প্রচুর ফ্লাইট চলে। এখানে দিনে ৫০–৬০ বিমান আসার সুযোগ আছে। পাঁচটি পাঁচতারা হোটেল আসছে শিলিগুড়িতে। আমাদেরও প্রজেক্ট আছে। এছাড়া আমাদের ১৫ হাজার কোটি টাকার ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান আছে আগামী ৫ বছরে। দিদির থেকে সহযোগিতা ও মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছি। আপনারা আশীর্বাদ না করলে প্রজেক্ট সফল হবে না। আমি খুবই আশাবাদী বেঙ্গল নাম্বার ওয়ান স্টেট একসময় ছিল আবার আমরা সেই জায়গায় পৌঁছব।’