পশ্চিমবঙ্গে এর আগেও পা জমানোর চেষ্টা করেছিল অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন বা এআইএমআইএম। তবে সেভাবে তারা জুৎ করতে পারেনি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এআইএমআইএম বাংলায় লড়েছিল বটে, তবে তারা কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে ২০২৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথার ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির নেতৃত্বাধীন দলটি। এআইএমআইএম ঘোষণা করেছে, ২০২৬ সালে বাংলার বিধানসভা ভোটে সবকটি আসনে লড়বে তারা। (আরও পড়ুন: ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে 'উল্লাস' করায় যুবকদের মাথা ন্যাড়া করাল পুলিশ)
আরও পড়ুন: অভ্যুত্থান ঘিরে জল্পনা, বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতে মুখ খুলল বাংলাদেশি সেনা
এআইএমআইএম নেতা মহম্মদ ইমরান সোলাঙ্কি এনডিটিভিকে বলেন, 'বাংলায় আমাদের প্রায় ৩ লক্ষ সদস্য রয়েছে এবং ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেবল মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকেই প্রায় দেড় লক্ষ ভোট পেয়েছি।' ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের ফল নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, 'এবারের পরিস্থিতি অন্যরকম হতে চলেছে।' তিনি বলেন, 'আমরা চার বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে মাঠে ময়দানে কাজ করেছি। আমরা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত আসনে প্রার্থী দিতে চাই এবং ব্লক স্তরে কাজ শুরু করেছি।' তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু পরিচয় বজায় রাখছেন, বিজেপি ভিন্ন খেলা খেলছে, কিন্তু পরাজয় শুধু জনগণের। ভোটারদের বেছে নিতে হবে। উত্তরবঙ্গ ও মালদায় আমাদের শক্ত জনভিত্তি রয়েছে।' (আরও পড়ুন: উদ্ধার শতাধিক যাত্রী, পাক ট্রেন হাইজ্যাক কাণ্ডে প্রাণ গিয়েছে ১৬ বালোচ যোদ্ধার)
আরও পড়ুন: মস্কোতে ড্রোন হামলা চালানোর পর 'ভদ্র ছেলের' মতো আমেরিকার কথা মেনে নিল ইউক্রেন
আরও পড়ুন: স্ত্রী ঊষাকে নিয়ে ভারতে আসছেন US ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স, শুল্ক জট কি কাটবে?
রিপোর্ট অনুযায়ী, এআইএমআইএম জেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মেম্বারশিপ ড্রাইভ চালাচ্ছে। জেলাগুলোতে ইফতার মাহফিলেরও আয়োজন করা হচ্ছে। ভোটের আগে এবং ইদের পর ওয়াইসি পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে জনসভায় যোগ দিতে পারেন বলে সম্ভাবনা রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, বাংলার মোট জনসংখ্যার ২৭ শতাংশ মুসলিম। ২০২১ সালে মালদা, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর জেলায় ৭ জন প্রার্থী দিয়েছিল ওয়াইসির দল। তবে তখন ভালো পারফর্ম করতে পারেনি এআইএমআইএম। রাজ্যে মোট ২৯৪টি বিধানসভা আসন রয়েছে। ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ২১৩টি আসন। তবে এবার উত্তরবঙ্গে এআইএমআইএম যদি তৃণমূলের ভোট কাটে, তাহলে তা বিজেপির সুবিধা করে দিতে পারে।