কলকাতা হাইকোর্টে আদালত কক্ষের মধ্যেই এক আইনজীবীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কল্যাণের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত আইনজীবী। আরও অভিযোগ, আদালতের মধ্যেই তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে নিয়ে কুমন্তব্য করেন কল্যাণ। তার প্রতিবাদ করাতেই সৌগত সমর্থক ওই আইনজীবীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: আইনজীবী কল্যাণের জোরাল সওয়াল কলকাতা হাইকোর্টে, আটকে গেল শুভেন্দুর ধুলিয়ান যাত্রা
অভিযোগকারী আইনজীবীর নাম অশোক কুমার নাথ। তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণে বিরুদ্ধে তিনি হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অশোকের দাবি, ১২ বছর ধরে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করছেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের বেঞ্চে ১১ নম্বর আদালত কক্ষে তাঁকে মারধর করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে অশোক দাবি করেছেন কল্যাণ আদালত কক্ষে সৌগতকে নিয়ে কুমন্তব্য করেন। তবে তিনি আদালত কক্ষের মধ্যে এই না করার জন্য কল্যাণকে বলেন। আর তাতেই কল্যাণ রেগে গিয়ে তাঁকে মারধর শুরু করেন। কলার চেপে ধরেন। মুখে কিল, ঘুষি মারতে থাকেন। এমনকী লাথিও মারেন। তারফলে মুখ থেকে রক্ত পড়ছিল বলে অভিযোগ। আইনজীবীর কথায়, ‘অন্যেরা ওঁকে না আটকালে আমাকে মেরে ফেলতেন।’ অভিযোগকারী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি সৌগত রায়ের সমর্থক। তাঁর সংসদীয় এলাকায় তিনি বাস করেন। এদিন সৌগতকে নিয়ে গালাগালি করায় তিনি বিরোধিতা করেছিলেন। তারপরেই অশোককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘আমাকে সৌগতের চামচা বলেছেন।’ থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি আদালতেও তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সৌগত রায়ের সঙ্গে কল্যাণের তিক্ত সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। তাঁদের মধ্যে বহুবার মতপার্থক্যের ফলে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে দলকে। এই দুই নেতা একাধিকবার একে অপরকে আক্রমণ করেছেন। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কল্যাণ। তিনি পাল্টা দাবি করেছেন, ওই আইনজীবী তৃণমূলকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করছিলেন। তিনি এনিয়ে আলোচনা না করতে বলেছিলেন। কিন্তু, তারপরেও তিনি থামেননি। তাই তাঁকে ঠেলে সরিয়ে দেন। মারধর করার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও দাবি করেন, বিজেপির লোকেরা তাঁকে উসকানি দিয়েছে।