রাজ্য পুলিশ। নানা ধরনের অপরাধের কিনারা করে প꧃ুলিশ। আবার অনেক ক্ষেত্রে পারেও না। সেকারণে কথাও শুনতে হয় পুলিশকে। তবে এবার সেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কার্যত ক্রাইম থ্রিলার বানিয়ে ফেলেছে। নাহ সবটা একেবারে গল্প এমনটা নয়। সত্যি ঘ꧑টনা অবলম্বনে। একবার দেখলে আর নাকি উঠতে ইচ্ছে করবে না।
এক্স হ্যান্ডেলে ওয়েস্টꦏ বেঙ্গল পুলিশ লিখেছে, ‘মানুষ বড় সস্তা, কাটো আর ছড়িয়ে দাও।’ ক্রাইম সিরিজের ক্যাচলাইন।
এরপর লেখা হয়েছে ৬৫ বছর আগের ঘটনা। কলক💃াতা পার্কে ছড়িয়ে রাখা হয়েছিল এক মহিলার দেহ। যুগান্তর কাগজে মোড়া ছিল সেই দেহের টুকরো।
কে সেই মহিলা? কে তাকে খুন করেছিল? কেন?
প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য পুলিশ।
ভারতের অন্যতম হাড়হিম খুনের ঘটনা। দেখুন ক্রাইম 🅘ক্রনিকল। লিখেছেন রাজ্য পুলিশ।
কী রয়েছে সেই ভিডিয়োতে?
ভিডিয়োটা শুরু হচ্ছে অনেকটা এই রকমভাবে।
৩০শে জানুয়ারি ১৯৫৪। কালীঘাট রিফিউজি মার্কেট।
সকাল ৫টা ৩০।
বলা হচ্ছে, ওখানে কী পড়ে রয়েছে। কালীঘাট বাস্তুহারা মার্কেটের স🍌াফাইকর্মী বিশু লক্ষ্য করলেন কাগজে মোড়া মানুষের♋ আঙুল।
এরপর বিশু যা দেখলেন দুটো হাতের খণ্ড খণ্ড টুকরো।
দুপুর ১♚২টা নাগাদ কালীঘাট পার্কের দারোয়ানও দেখত⛎ে পেলেন একের পর এক দেহের টুকরো। চারটে মোড়কের শেষটিতে ভ্রুণ মিলেছিল। অর্থাৎ ওই মহিলা সন্তান সম্ভবা ছিলেন।
ক্রাইম সিরিজে এক পুলিশ আধিকারিক বলছ꧟েন ২০ দিন হয়ে গেল মহিলাকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
বাড়ি যাওয়ার পথে কাশির ওষুধ কিনতে রসা⛦ রোডের এক ওষুধের দোকানে যান তদন্তকারী আধিকারিক। সেখানে কাশির ওষুধ মেলেনি। তবে মালিক মাস খানেক ধরে দো🎃কানে আসেননি। এটা জানতে পারেন কর্মচারীর কাছে। কেমন যেন খটকা লাগে তাঁর।
এরপর অন্য মোড়। টার্ফ রোডে মালিকের বাড়ি। কিছুটা স🃏ন্দেহবশত মালিকের বাড়িতে যান ওই পুলিশ আধিকারিক। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন মালিকের স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। তিনি জানতে পারেন শিশু মঙ্গল হাসপাতালে স্ত্রীকে ভর্তি করতে নিয়ে যাবেন বলে বেরিয়েছিল মালিক। পরে পুলিশ সোর্স মারফত জানতে পারে মালিক রয়েছেন হরিশ মুখার্জি রোডের একটা বাড়িতে। এরপর হরিশ মুখার্জি রোডের একটা বাড়ি থেকে বের হতেই বীরেন দত্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কোনওরকম চিৎকারে আমল না দিয়ে লালবাজারে নিয়ে এল পুলিশ। একসময় ভেঙে পড়েন বীরেন।
এরপর বীরনকে নিয়ে বিস্তারিত রয়েছে ওই ভিডিয়োতে। বহু পুরনো ঘটনা। ক্রাইম ♛সিরিজ। মন্দ লাগছে না। কেন বীরেন খুন করলেন তার স্ত্রীকে? জানুন বীরেনের জীবন।