মাঝের সময়টা খুব খারাপ কেটেছিল। আর্থিক অনটনের জেরে ঠিকাদেরদের বকেয়া দেওয়া যাচ্ছিল না। আর তাই তারা কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিরোধীরা কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছিল। মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। সেখানে এবার পাল্টা জবাব কাজ করে দিল কলকাতা পুরসভা। মেয়রের হস্তক্ষেপে এবার ভরে উঠল কলকাতা পুরসভার কোষাগার। সুতরাং আর কোনও অসুবিধা রইল না। সম্পত্তি কর–সহ বিভিন্ন ট্যাক্স মেটানোয় এমন ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে চলতি মার্চ মাসে পরপর বেশ ক’দিন সরকারি ছুটি আছে। আর তাই গত বৃহস্পতিবার, ছুটির দিন থাকলেও ট্রেজারি খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। এটা করার কথা অফিসারদের জানিয়ে ছিলেন মেয়র। তারই এবার সুফল মিলল। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ওই ছুটির দিনে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে। অনলাইন এবং অফলাইন দুটি পথেই বিপুল পরিমাণ কর জমা পড়েছে। সব মিলিয়ে সাড়ে চার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব জমা হয়েছে পুর–কোষাগারে। একদিনের হিসেবে এই পরিমাণই সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: কলকাতায় আবার বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, এসটিএফের জালে গ্রেফতার মালদার ২ যুবক
অন্যদিকে সূত্রের খবর, গত ২৭ মার্চ সরকারি ছুটি ছিল। সেখানে চলতি অর্থবর্ষের (২০২৪–২৫) শেষ সপ্তাহে ট্রেজারি খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। আর রবিবার এমনিই ছুটি থাকে কলকাতা পুরসভা। সোমবার এবং মঙ্গলবার আছে ঈদের ছুটি। ১ এপ্রিল আবার ব্যাঙ্ক বন্ধ। তাই ২৭ থেকে ৩১ মার্চ কলকাতা পুরসভার ট্রেজারি খোলা রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার অনলাইনে কর জমা দিয়েছেন ১,০৬৯ জন নাগরিক। আর করের পরিমাণ সেদিন ২ কোটি ৪৯ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকায় পৌঁছেছে।