রাজভবনের ইচ্ছা অনুসারে রাজ্যপালের সচিব পদ থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরিয়ে নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বুধবার এক নির্দেশিকা জারি করে নন্দিনীদেবীকে পর্যটন দফতরের প্রধান সচিবের পদে পাঠানো হয়েছে। রাজভবনে নন্দিনী চক্রবর্তীর ভূমিকা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে প্রশ্ন তুলছিল বিরোধীরা। এর পর গত রবিবার সন্ধ্যায় তাঁকে অব্যাহতি দেয় রাজভবন।নন্দিনী চক্রবর্তীর অপসারণ নিয়ে রাজ্য – রাজ্যপাল সংঘাতের সূচনা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন অনেকে। কারণ রবিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁকে অব্যাহতি দিলেও সোমবার বা মঙ্গলবার নবান্নের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। মঙ্গলবার রাজভবনে মুখ্যসচিবের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন রাজ্যপাল। তার পর বুধবার নন্দিনীদেবীর বদলির নির্দেশ বেরোয় নবান্ন থেকে।১৯৯৪ ব্যাচের আইএএস নন্দিনী চক্রবর্তী রাজ্য সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। এর আগে পর্যটন দফতরের প্রধান সচিব ছিলেন তিনি। লা গণেশন রাজ্যপালের দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁকে রাজ্যপালের সচিব নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। এর পরই রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিসহ একাধিক বিষয়ে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সরব হয় বিরোধীরা।সমালোচনা চরমে ওঠে সম্প্রতি রাজ্যপালের ‘হাতে খড়ি’ অনুষ্ঠানে। রাজভবনের লনে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে বাংলা শেখা শুরু করেন রাজ্যপাল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানে সংক্ষিপ্ত ভাষণে রাজ্যপালকে ‘জয় বাংলা’ বলতে শোনা গিয়েছিল। এর পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন নন্দিনী চক্রবর্তী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে তিনি রাজ্যপালকে বিভিন্ন বিষয়ে ভুল বোঝাচ্ছেন।গত শনিবার রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার পরদিনই নন্দিনী চক্রবর্তীকে অব্যাহতি দেয় রাজভবন। তবে সুকান্তবাবুর দাবি, তাঁর সঙ্গে রাজ্যপালের সাক্ষাতের সঙ্গে নন্দিনী পর্বের কোনও সম্পর্ক নেই।