এবার ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে আসন সংরক্ষণের খসড়া সমীক্ষার ওপর আপত্তি জানাতে কমিশনে গিয়ে তিনি বলেন ভিভিপ্যাট ছাড়া ইভিএম ত্রুটিমুক্ত নয়।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘পুরসভা - কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রহসন মানুষ দেখেছে। ভিভিপ্যাট ছাড়া কী ভাবে ভোটের মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। যেটা সুপ্রিম কোর্টও বলেছে, ভিভিপ্যাট ছাড়া ইভিএম ত্রুটিমুক্ত নয়। গায়ের জোরে করেছেন তাঁরা’।
২০১৯ সালের এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচনের আগে এক মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট যাচাই করার হার বাড়াতে হবে। ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট ইভিএমের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু ভোট প্রক্রিয়া চালু থাকায় বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেনি আদালত।
পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট নন ফয়জানের বাবা-মা, নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে মামলা
দেশজুড়ে ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। ২০১৯ সালে গোটা দেশে বিজেপির বিপুল জয়ের পর ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ছোট বড় প্রায় সব বিরোধী দল। ইভিএম ‘হ্যাক’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানায় অনেকে। যার ফলে অন্য দলকে ভোট দিলে সেই ভোটও বিজেপির খাতায় চলে যাচ্ছে বলে দাবি করা হয়। এমনকী ইভিএম কী ভাবে হ্যাক করা যায় তা দিল্লি বিধানসভার ভিতরে নকল ইভিএম দিয়ে দেখান আপ সরকারের এক মন্ত্রী।