আজ, সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসমিতির বৈঠক বসছে। এই বৈঠকে দলের সব সাংসদ, বিধায়ক এবং জেলার শীর্ষনেতৃত্বকে ডাকা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু এই বৈঠকে যে আমন্ত্রণের তালিকা রয়েছে তাতে একটা বৈপরীত্য দেখা যাচ্ছে। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। একজন আমন্ত্রণ পেলেন যিনি সাংসদ–বিধ𒀰ায়ক নন। তবে জেলা সভাপতি পদে আছেন। আর একজন সাংসদ হয়েও আমন্ত্রণ পেলেন না। সুতরাং দলের অন্দরে যে তাঁকে সাইড করা হচ্ছে এটা একপ্রকার নিশ্চিত। যদিও এই পরিস্থিতির জন্য ওই সাংসদই দায়ী বলে মনে করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
সদ্য ৬টি বিধানসভা উপনির্বাচনে ৬–০ ফল করে রাজ্য–রাজনীতিতে বিরোধীদের জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার পর দলের এই কর্মসমিতির বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজই সংসদে বসছে শীতকালীন অধিবেশন এবং বিধানসভায় বসছে শীতকালীন অধিবেশন। তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা বেড়ে এখন ২২৬। এই দুই শীতকালীন অধিবেশনে সাংসদ–বিধায়কদের কেমন পদক্ষেপ করতে হবে, কোন🎃 স্ট্র্যাটেজি নিয়ে চলতে হবে তা বাতলে দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানে উপস্থিত থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: গেঁওখালিতে পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠেছে বিশেষ লাক্সারি রিসর্ট, ‘ত্রিস্রোতা’র ব্যবস্থা কেমন?
কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে আমন্ত্রণ পেলেন না সুখেন্দুশেখর রায়। সাংসদ হয়ে আজ তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসমিতির বৈঠকে। আরজি কর হাসপাতꦐালের ঘটনার পর নানা মন্তব্⛄য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন রাজ্যসভার এই সাংসদ। এমনকী তাঁর বন্ধু জহর সরকার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। যা সুখেন্দুবাবু আটকাতে পারেননি। কিন্তু বাংলার মানুষ কোনও কুৎসা, অপপ্রচারে সাড়া না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই আস্থা রেখেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা তেমনই বক্তব্য রেখেছেন। এটাই সুখেন্দুশেখর রায়কে সাইড করার প্রথম ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই নিয়ে সুখেন্দুবাবু কোনও মন্তব্য এখনও করেননি।
সেখানে দেখা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল আমন্ত্রণ পেয়েছেন। যিনি কিছুদিন আগে তিহাড় জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। অনুব্রত ডাক পেলেও সুখেন্দু কেন পেলেন না? এই প্রশ্ন এখন উঠছে। তবে বীরভূম জেলার বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘এখানে জেলমুক্তির কোনও বিষয় নেই। উনি দলের নেতা। দলের প্রতি নানা অবদান আছে। উনি আবার দলে ফিরে এসেছেন। তাই তিনি সেখানে ডাক পেয়েছেন এবং যাবেন। আমরা সকলেই কলকাতায় থাকব।’ আর সুখেন্দুশেখর রায়ের বিষয়ে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘বৈঠকে কাকে ডাকা হবে সেটা দলের সিদ্ধাℱন্ত। তবে প্রত্যেক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর কর্তব্য হওয়া উচিত দলের শৃঙ্খলা মেনে চলা।’