আবার কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি পেল বাংলা। আর তাতেই প্রমাণ হল অন্যান্য রাজ্য থেকে এগিয়ে বাংলা। প্রাণীজ প্রোটিন অর্থাৎ দুধ, ডিম এবং মাংস উৎপাদনের হারে শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। জনসংখ্যায় দেশের বৃহত্তর রাজ্য উত্তরপ্রদেশ এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম মহারাষ্ট্র। এই দুই রাজ্যকে পিছনে ফেলে বাংলা এগিয়ে গিয়েছে। জনসংখ্যার নিরিখে তৃতীয় স্থানে আছে পশ্চিমবঙ্গ। আজ, সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে এই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃতি মিলতেই অত্যন্ত খুশির সঙ্🍃গে তা সবার সামনে নিয়ে এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
বিরোধীরা রাজ্য সরকারের যতই সমালোচনা করুক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবেই জবাব দিয়ে চলেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে পাবলিক ডোমেনে এই তথ্য তুলে ধরতেই তা সবার সামনে নিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলা যে নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে এবং স্💦বনির্ভর হচ্ছে এই স্বীকৃতি সেই সাক্ষ্য বহন করে। তাই মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের সদ্য প্রকাশিত ‘পশুপালন পরিসংখ্যান ২০২৪’ অনুযায়ী, বাংলা এখন দেশের সর্বোচ্চ মাংস উৎপাদনকারী। জাতীয় উৎপাদনের ১২.৬২ শতাংশ বাংলার অবদান। দুধ উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গ দেশের সর্বোচ্চ বার্ষিক বৃদ্ধির হারে রেকর্ড করেছে। এক্ষেত্রে জাতীয় গড় ৩.৭৮ শতাংশ। সেখানে বাংলার গড় ৯.৬৭ শতাংশ।’
এই তথ্য কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে। যেখানে বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং অন্যান্য রাজ্যকে পিছিয়ে দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে বাংলা। বাংলায় প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। যারা প্রত্যেক বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনা করে থাকে এবং বিরোধিতা করে। সেখানে এই সাফল্য নিঃসন্দেহে জবাব দেওয়ার সামিল। আর এই সাফল্য এসেছে নানা পরীক্ষা–নিরীক্ষা এবং অভিনব নীতি নেওয়ার ফলেই বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগেও একাধিক ꦚকেন্দ্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলা। এমনকী বাংলার একাধিক সামাজিক প্রকল্পও কেন্দ্র এবং বিদেশে স্বীকৃতি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু, কোচবিহারে গাড়ি পুকুরে পড়তেই সব শেষ
এবার আরও একটা স্বীকৃতি পেল বাংলা। যা আগামী দিনে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পোলট্রি খাতে অর্থাৎ ডিম উৎপাদনে জাতীয় স্তরে উৎপাদন বৃদ্ধির হারের তুলনায় বাংলায় অনেক বেশি। এই দাবি করে এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘আমাদের বার্ষিক বৃদ্ধির হার ১৮.০৭ শতাংশ। জাতীয় গড় ৩.১৮ ♑শতাংশ। এই অর্জন আমাদের উদ্ভাবনী নীতি এবং নানা অভিনব কর্মসূচির প্রমাণ। আমাদের কৃষক এবং উৎপাদকদের শক্তির পরিচয় এটি।’