করোনা হাসপাতালের ভিতরে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করল রাজ্য সরকার। বুধবার নবান্ন থেকে এই মর্মে নির্দেশিকা জারি হয়। তবে এই নিষেধা়জ্ঞার কারণ নিয়ে শাসক – বিরোধীর বিতর্ক বেঁধেছে। শাসকের দাবি, সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে মোবাইল ফোন। ওদিকে বিরোধীদের দাবি, করোনা হাসপাতালের অব্যবস্থা ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে মোবাইল নিষিদ্ধ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিয়ো। সেখানে বাঙুর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড বলে দাবি করে একটি হাসপাতালের অন্দরের ছবি তুলে ধরা হয় ভিডিয়োয়। তাতে দেখা যায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগীদের পাশেই শোয়ানো রয়েছে মৃতদেহ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এভাবেই দেহ পড়ে থাকছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে ওই ভিডিয়োয়।বুধবার আবার ওই ভিডিয়ো যিনি তুলেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়ে টুইট করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। পরে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয় বাবুলের দাবির সত্যতা নেই।এরই মধ্যে নবান্ন থেকে জারি হয়েছে নির্দেশিকা। তাতে বলা হয়েছে, করোনা হাসপাতালে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ। সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু রোগী নয়, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যও কার্যকর করা হয়েছে এই বিধি। বদলে হাসপাতালের ল্যান্ডলাইন ব্যবহার করতে বলা হয়েছে তাঁদের।মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা এব্যাপারে বলেন, জুতোর থেকেই মোবাইল ফোন থেকে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। তাই হাসপাতালের রোগী, চিকিৎসক, নার্স সবার জন্য মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।