ঘটনার সূত্রপাত ২০১৭ সালে। সেবছরের ৬ জানুয়ারি, হুগলি স্টেশন লাগোয়া এক মন্দিরের পাশে ছোট্ট সৌম্যজিতের দেহ উদ্ধার হয়। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সেই সময় ব্যান্ডেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ছিলেন প্রসেনজিৎ ঘোষ। তদন্তে নামে পুলিশ। সেই সময় গ্রেফতার হন অরবিন্দ তাঁতি। এই অরবিন্দ তাঁতিকেই এদিন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন চুঁচুড়া কোর্টের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সঞ্জয় শর্মা। এই খুনের ঘটনায় কেন অরবিন্দ তাঁতির নাম উঠে এল, সেই ঘটনার বিবরণে আসা যাক।
৮ বছরের সৌম্যজিতের মায়ের সঙ্গে অরবিন্দের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। এই ঘটনার আগেই, সৌম্যজিতের মা ও বাবার মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তারপর থেকেই সৌম্যজিতের মায়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে অরবিন্দ। তবে সৌম্যজিতের মায়ের সঙ্গে অরবিন্দের সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। কিছুদিনের মধ্যেই বিচ্ছেদ হয়। আর এই বিচ্ছেদ যন্ত্রণা মেনে নিতে না পেরেই ছোট্ট সৌম্যজিতকে খুন বলে জানা যাচ্ছে।
( Guillain Barre Syndrome: বারাসতের পর জগদ্দল, এবার কিশোরের মৃত্যুতে ফের সন্দেহে গিলেন বা সিনড্রোম)
সৌম্যজিতের বাবা ও মায়ের মধ্যে বিচ্ছেদের পর , ছেলে থাকত তার মায়ের সঙ্গে। তখনই ব্যান্ডেলের লিচুবাগান এলাকার অরবিন্দের সঙ্গে সৌম্যজিতের মায়ের পরিচিতি। পরে তাঁরা একসঙ্গে ব্যান্ডেলের লালবাবা আশ্রম এলাকায় থাকতেন। তবে অশান্তি লেগেই থাকত। শেষমেশ ২০১৬ সালে তাঁদের মধ্যে হিচ্ছেদ হয়। অরবিন্দের সঙ্গে আর থাকতে চাননি সৌম্যজিতের মা। এরপর হুগলির কৃষ্ণপুরে নিজের বাপের বাড়িতে চলে আসেন সৌম্যজিতের মা। সেখানেই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন ওই মহিলা। এই এলাকা হুগলি স্টেশন লাগোয়া। এরপর আসে ২০১৭ সালের জানুয়ারি। সেবছরের শীতে মৃত্যু হয় সৌম্যজিতের। জানা যায়, ৮ বছরের সৌম্যজিতকে লজেন্সের লোভ দেখিয়ে অপহরণ করে অরবিন্দ। ততক্ষণে শুরু হয় খোঁজ। এরপর ৬ জানুয়ারি হুগলি স্টেশন লাগোয়া মন্দিরে উদ্ধার হয় সৌম্যজিতের দেহ। সেই ঘটনাতেই যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা পেল ধৃত অরবিন্দ তাঁতি।